images

আন্তর্জাতিক

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৫৪ পিএম

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ অনতিবিলম্বে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর আগ্রাসন ও গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। 

গাজা উপত্যকার সাধারণ মানুষের ওপর ইসরায়েলের হত্যাকাণ্ডকে সম্মিলিত শাস্তি উল্লেখ করে ল্যাভরভ বলেন, এটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

আরও পড়ুন: সিরিয়া থেকে ইসরায়েলে পাঠানো হলো বিস্ফোরক-বোঝাই ড্রোন

রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বে সহিংসতার দুষ্টু চক্র ভাঙতে হবে। তার মতে, গাজা ও মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় এটিই একমাত্র পথ।

ল্যাভরভ আবারও বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে আমেরিকা যে ব্যর্থ ও ভুল নীতি অনুসরণ করে আসছে তার ফলাফল হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান এই সংঘাত। তিনি অভিযোগ করেন যে মধ্যপ্রাচ্যের সংকট সমাধানের ক্ষেত্রে আমেরিকা একচেটিয়া প্রভাব বিস্তার করে রেখেছে এবং আমেরিকার ‘পেছন দরজার এই কূটনীতি’ সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে বোঝার চেষ্টা করতে হবে।

তিনি বলেন, শান্তি এবং স্থিতিশীলতার জন্য এককেন্দ্রিক বিশ্ব নয় বরং বহু পক্ষপাক্ষিক বিশ্ব ব্যবস্থা দরকার। বিশ্বব্যাপী গোলযোগ ও সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি মার্কিন নেতৃত্বাধীন পাশ্চাত্যকে দায়ী করেন।

উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকার নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের ওপর প্রায় দুই মাস ধরে ইসরায়েল পাশবিকতা চালিয়ে গেলেও কোনো পশ্চিমা দেশ বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন পর্যন্ত তেল আবিবকে আগ্রাসন বন্ধ করার কথা বলেনি।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২১ হাজার ১১০ জন। 

আরও পড়ুন: ইরান-সৌদি সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা: বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন মোড়

গাজার সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হতাহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৫৫ হাজার ২৪৩ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালায়। ওই অভিযানে ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দী করে নিয়ে গাজা উপত্যকায় ফিরে যায়। সেদিন থেকেই ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গাজায় ভয়াবহ রক্তাক্ত অভিযান শুরু করে যা এখন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলছে।

ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।’

সূত্র : আল-জাজিরা, মিডল ইস্ট আই, আরটি, তাস

এমইউ