images

আন্তর্জাতিক

গাজায় সেবা দিতে আমিরাত থেকে গেলেন ১০ নারী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৫০ পিএম

চিকিৎসা ক্ষেত্রের দশজন নারী স্বেচ্ছাসেবক সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে গাজায় গিয়েছেন। ফিলিস্তিনি জনগণকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও সহায়তা প্রদানের জন্য গাজা উপত্যকায় সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রতিষ্ঠিত সমন্বিত ফিল্ড হাসপাতালে যোগদান করবেন তারা। 

খালিজ টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, এসব নারী গাজার হাসপাতালে তাদের সহকর্মী স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে যোগদান করবেন। তারা গাজায় আহতদের চিকিৎসা দেবেন।  

ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্ভোগ লাঘব এবং গাজা উপত্যকায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সমর্থন করার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে ৩ ডিসেম্বর গাজার আমিরাতি সমন্বিত ফিল্ড হাসপাতাল গাজা উপত্যকার জনগণকে চিকিত্সা পরিষেবা প্রদান করা শুরু করে।

আরও পড়ুন: জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ব্যর্থতা নিয়ে গুতেরেসের হতাশা

গাজা উপত্যকার জনসংখ্যাকে মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য 'গ্যালান্ট নাইট ৩' অপারেশন শুরু করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এরই অংশ হিসেবে সেখানে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে ১৫০ শয্যার হাসপাতাল। এটি পরিচালনা করছে আমিরাতের মেডিকেল টিম।

হাসপাতালটিতে সাধারণ, শিশুরোগ এবং ভাস্কুলার সার্জারি, প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুদের জন্য নিবিড় পরিচর্যা কক্ষ, একটি এনেস্থেশিয়া বিভাগ, এবং অভ্যন্তরীণ ওষুধ, দন্তচিকিৎসা, অর্থোপেডিকস, মনোরোগ, পারিবারিক ওষুধ, বিশেষায়িত ক্লিনিকসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রোপচারের জন্য লাগানো সার্জিকাল অপারেটিং রুম রয়েছে। এছাড়াও সেখানে পেডিয়াট্রিক্স এবং গাইনোকোলজি, সিটি স্ক্যান, অত্যাধুনিক ল্যাব এবং একটি ফার্মেসির পাশাপাশি চিকিৎসা সহায়তা পরিষেবা।

গাজার এমিরাতি ফিল্ড হাসপাতালে কর্মরত মেডিকেল কর্মীদের মধ্যে চিকিৎসা স্বেচ্ছাসেবক ছাড়াও বিভিন্ন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ এবং শাখায় বিশেষ এবং যোগ্য ক্যাডার রয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘ইসরায়েলে কোনো জাহাজ যেতে দেব না’, হুথির হুঁশিয়ারি

৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১৮ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন সাড়ে ৪৯ হাজার ফিলিস্তিনি। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ‘গাজা উপত্যকায় যাওয়ার জন্য কোনো নিরাপদ জায়গা নেই। কারণ মারাত্মক ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে।’

অধিকৃত পশ্চিম তীরজুড়ে ইসরায়েলি অভিযান বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও ধ্বংসযজ্ঞ বাড়ছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বলছে, গাজার ৩৬ শতাংশ পরিবার এখন তীব্র ক্ষুধা নিয়ে বাস করছে।

একে