মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

‘ইসরায়েলে কোনো জাহাজ যেতে দেব না’, হুথির হুঁশিয়ারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৪৪ এএম

শেয়ার করুন:

‘ইসরায়েলে কোনো জাহাজ যেতে দেব না’, হুথির হুঁশিয়ারি
সম্প্রতি ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজ আটক করে হুথি। ছবি: গার্ডিয়ান

গাজায় হামলা চলতে থাকলে ইয়েমেনের জলসীমা দিয়ে কোনো জাহাজ ইসরায়েলে পৌঁছতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথি। এরই মধ্যে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজ আটক করেছে তারা।

এক বিবৃতিতে ইয়েমেনভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে যে, গাজায় সাহায্য না বাড়ানো হলে তারা ইয়েমেনের জলসীমায় পরিচালিত যেকোনও ইসরায়েলি জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু বানাবে। খবর আল জাজিরার


বিজ্ঞাপন


হুথি জানিয়েছে, ইসরায়েলের দিকে যেকোনও জাহাজকে 'বৈধ লক্ষ্যবস্তু' হিসাবে বিবেচনা করা হবে। তবে যে জাহাজগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক নেই সেগুলোকে তারা সম্মান জানাবে।

আরও পড়ুন: কেন শুরু হয়েছিল ইয়েমেন যুদ্ধ, কে কার প্রতিপক্ষ?

গত নভেম্বরে হুথিরা একটি ট্যাঙ্কার জাহাজ আটক করে। সেটি আংশিকভাবে একজন ইসরায়েলি-ব্যবসায়ী মালিকানাধীন। ইসরায়েল বলেছে যে, ওই সময় কোনো ইসরায়েলি জাহাজে ছিল না।

ইয়েমেন বৈশ্বিক বাণিজ্য পথের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এডেন উপসাগরকে লোহিত সাগরের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে দেশটি, যা পরে সুয়েজ খালের মাধ্যমে ভূমধ্যসাগরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে।


বিজ্ঞাপন


ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ও আহতের সংখ্যা ৬৬ হাজারের বেশি। এদের মধ্যে ৪৫ শতাংশই শিশু। এছাড়া গাজায় দুই মাসের বেশি সময় ধরে হামলায় ৩৬ শতাংশ বাড়ি ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল। সেখানকার পরিস্থিতি মারাত্মক বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করেও যুদ্ধ থামাতে ব্যর্থ হয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহত হয়েছে ১৭ হাজার ৭০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছে অন্তত ৪৮ হাজার ৭৮০ জন।

আরও পড়ুন: জাহাজ আটক করল হুথিরা, ইরানকে দুষছে ইসরায়েল

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা বলেছেন, 'গাজার জনগণের বিরুদ্ধে অপরাধ ও গণহত্যা সব বর্ণনার বাইরে। আমেরিকান ও ইউরোপীয় সমর্থনে ফিলিস্তিনের অস্তিত্বের অবসান ঘটানো অমানবিক।'

আশরাফ আল-কুদরা বলেছেন, ইসরায়েলের অবিরাম বোমাবর্ষণে প্রতিদিন শত শত মানুষ নিহত হচ্ছে এবং হাজার হাজার আহত হচ্ছে। নিহতদের প্রায় অর্ধেক শিশু।

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বলছে, মাঝারি ক্ষুধায় পতিত হয়েছে গাজার ৫২ শতাংশ এলাকার মানুষ। সেখানকার ৯১ শতাংশ পরিবার ক্ষুধার্ত অবস্থায় বিছানায় যায় এবং ৬৩ শতাংশ মানুষ সারাদিনই কোনো খাবার না খেয়ে থাকার কথা জানিয়েছে। গাজার উত্তরাঞ্চলে এই অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ।

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর