images

আন্তর্জাতিক

আমন্ত্রণ ফেরালেন ইলন মাস্ক, চাইলেন গাজার সমৃদ্ধি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:১৬ পিএম

গাজা ইসরায়েলের হামলার মধ্যে তেল আবিব সফর করছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ও মার্কিন ব্যবসায়ী ইলন মাস্ক। এই সময় তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের ধ্বংসজজ্ঞ দেখার জন্য ইলন মাস্ককে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল হামাস। তবে সেই আমন্ত্রণে সাড়া দেননি মাস্ক। তবে তিনি গাজার সমৃদ্ধি চেয়েছেন।

হামাসের আমন্ত্রণের বিষয়ে ইলন মাস্ক বলেছেন, এখন সেখানে যাওয়াটা কিছুটা বিপজ্জনক মনে হচ্ছে। তবে আমি বিশ্বাস করি যে দীর্ঘমেয়াদী সমৃদ্ধ গাজা সব পক্ষের জন্যই ভালো। খবর আল জাজিরার

এর আগে মঙ্গলবার গাজায় ইসরায়েলি ‘গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ’ দেখতে ইলন মাস্ককে আমন্ত্রণ জানায় গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস। গাজা উপত্যকায় ব্যাপক সহিংসতা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। তাদের এ গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ দেখতে ইলন মাস্ককে আমন্ত্রণ জানান হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ওসামা হামদান।

আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি ‘গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ’ দেখতে ইলন মাস্ককে আমন্ত্রণ

এর আগের দিন প্রযুক্তি খাতের সফল এ ব্যবসায়ী হামাসের অভিযানে বিধ্বস্ত ইসরায়েলের কিবুতজ এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন। সেখানে তিনি ঘৃণার বিস্তার রোধ করতে যা যা করা দরকার তা করার জন্য তার প্রতিশ্রুতির ঘোষণা দেন। এছাড়া তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও দেখা করেন।

এরপর হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ওসামা হামদান ইলন মাস্ককে বলেন যে তিনি যেন ফিলিস্তিন অঞ্চলও পরিদর্শন করেন। এর মাধ্যমে তিনি সবকিছু বুঝতে পারবেন।

বৈরুতে এক সংবাদ সম্মেলনে হামদান বলেন, “আমরা তাকে গাজার জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের পরিধি দেখার জন্য গাজা সফরের আমন্ত্রণ জানাই। এর ফলে তিনি সহিংসতার বস্তুনিষ্ঠ ও বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণগুলো পাবেন।

তিনি বলেন, ৫০ দিনের মধ্যে ইসরায়েল গাজাবাসীদের বাড়ি-ঘরে ৪০ হাজার টনের বেশি বিস্ফোরক ফেলেছে।

অবরুদ্ধ গাজায় ৫১ দিনের নিরলস হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হাজার হাজার ভবন ধ্বংস করেছে। হাজার হাজার শিশু ও নারীকে হত্যা করা হয়েছে। এরপর কাতারের মধ্যস্ততায় শুক্রবার থেকে শুরুতে চারদিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। পরে এটির মেয়াদ আরও দুইদিন বাড়ানো হয়।

গত ৭ অক্টোবর গাজার সীমান্ত সংলগ্ন ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের নজিরবিহীন হামলায় ১২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ সময় হামাস ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৪০ জনকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: আমি অনেক সুখী মানুষ: ইলন মাস্ক

হামাসের হামলার পর ওইদিন থেকেই ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ব্যাপক ও ভয়াবহ হামলা শুরু করে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। অবিরাম হামলায় ফিলিস্তিনে ১৫ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

এছাড়া ৭ অক্টোবরের পর থেকে প্রথম দুই সপ্তাহে ইসরায়েলের কারাগারে আগে থেকে থাকা ৫২০০ ফিলিস্তিনির সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গাজা থেকে ইসরায়েলে কাজ করতে যাওয়া ৪ হাজার ফিলিস্তিনিও রয়েছে। তাদেরকে গাজায় ফিরতে না দিয়ে গ্রেফতার করে ইসরায়েল।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে দিনে ও রাতে অভিযান চালিয়ে ৩২৯০ জনকে গ্রেফতার করেছে ইসরায়েল।

একে