আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:৪৬ পিএম
ভারতে দীর্ঘ ১৭ দিন উদ্ধার করা হয়েছে টানেলে আটকে পড়া শ্রমিকদের। পাহাড়ের নিচ দিয়ে তৈরি হওয়া এই টানেলে গত ১২ নভেম্বর ধস নামে। এরপর থেকে সেখানে আটকে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। আধুনিক নয়, আদিম ও বিপজ্জনক ‘ইঁদুর খোঁড়া পদ্ধতি’ ব্যবহার করে তাদের কাছে পৌঁছন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। প্রথম সদস্যকে বের করা হয় ভারতীয় সময় ৭টা ৪৯ মিনিটে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সবাইকে একে একে বের করে আনা হয়।
ভারত ও অন্যান্য দেশের উদ্ধার বিশেষজ্ঞরা এই অভিযানে অংশ নেন। শুরু থেকে আধুনিক পদ্ধতিতে নেয়া বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। অনেকটা খনন করার পর ভেঙে যায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা যন্ত্র। এরপর ধরে নেয়া হচ্ছিল যে, শ্রমিকদের উদ্ধারে আরও বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। তবে অবশেষে মঙ্গলবার সুড়ঙ্গ তৈরি করে পাইপ বসানোর কাজ শেষ করেন উদ্ধারকারীরা। এরপর টানেলের ভেতর পৌঁছান উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। খবর এনডটিভির
আরও পড়ুন: টানেলে ১৭ দিন: কীভাবে হবে উদ্ধার, রাখা হবে কোথায়?
খবরে বলা হয়েছে, শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আধুনিক পদ্ধতি বাতিল করা হয়। কাজে লাগানো হয় ‘ইঁদুর খোঁড়া পদ্ধতি’। ইঁদুরের মতো গর্ত খনন করে বসানো হয়েছে পাইপ। যন্ত্রের পরিবর্তে খননকাজ চালানো হয়েছে হাত দিয়ে। পাইপটি আড়াই ফুট চওড়া। প্রথমে মনে করা হয়েছিল, সুড়ঙ্গ থেকে হামাগুড়ি দিয়ে বেরোবেন শ্রমিকেরা। কিন্তু দীর্ঘ ১৭ দিন সুড়ঙ্গে আটক থাকার কারণে তারা শারীরিকভাবে আর সক্ষম নন। সে কারণে চাকা লাগানো ট্রলির মাধ্যমে পাইপ দিয়ে তাদের বের করে আনা হয়।
#WATCH| Uttarkashi (Uttarakhand) tunnel rescue: CM Pushkar Singh Dhami meets the workers who have been rescued from inside the Silkyara tunnel pic.twitter.com/vuDEG8n6RT
— ANI (@ANI) November 28, 2023
‘ইঁদুর খোঁড়া পদ্ধতি’ কে আদিম হিসেবে দেখা হয়। খনি শ্রমিকরা এই পদ্ধতি ব্যবহার করেন। এটি বেশ বিপজ্জনক এবং বিতর্কিত পদ্ধতি। ভারতের টানেলে শ্রমিকদের উদ্ধারে এই খননের কাজ করেছেন মধ্য ভারত থেকে আসা খনি শ্রমিকরা। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে তারা সফল হন।
টানেল থেকে উদ্ধার করে শ্রমিকদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য টানেলের মুখেই অস্থায়ী হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। এরপর সেখান থেকে তাদের নেয়া হবে উত্তরকাশী জেলা হাসপাতালে। টানেলের মুখ থেকে জেলা হাসপাতালের দূরত্ব প্রায় ৪৫ কিলোমিটার। প্রস্তুত রাখা হয়েছে হেলিকপ্টার। কোনও শ্রমিকের অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত আকাশপথে নেয়া হবে হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: গাজায় বন্দী নয়, অতিথি হয়ে ছিলাম: ইসরায়েলি নারী
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উত্তরকাশী জেলা হাসপাতালে ট্রমা কেয়ার ইউনিট, আইসিইউ শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শরীরের পাশাপাশি মানসিক চিকিৎসাও চলবে শ্রমিকদের।
#WATCH | Uttarkashi tunnel rescue | Ambulances leave from the Silkyara tunnel site as nine workers among the 41 workers trapped inside the Silkyara tunnel in Uttarakhand since November 12 have been successfully rescued. pic.twitter.com/pgIpNxTY3B
— ANI (@ANI) November 28, 2023
১২ নভেম্বর সকালে ব্রহ্মখাল-য়ামুনোত্রী মহাসড়কে নির্মাণাধীন টানেলে কাজ করার সময় ধস নামে। তখন এর মধ্যে আটকা পড়েন ওই ৪১ জন শ্রমিক। তারপর থেকে তাদের উদ্ধারের জন্য নেওয়া বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
চারধাম যাত্রার রাস্তা চওড়া করার জন্য উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর কাছে পাহাড় কেটে এই টানেল তৈরির কাজ চলছিল। চারধাম অর্থাৎ, কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, গঙ্গোত্রী এবং য়ামুনোত্রীর সংযোগ স্থাপনে এই রাস্তা গুরুত্বপূর্ণ।
একে