কিছু সময়ের মধ্যেই ভারতের উত্তরাখন্ডের উত্তরকাশীর টানেলে আটকা পড়া ৪১ শ্রমিককে ধারাবাহিকভাবে বের করা হবে। এরপর তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হবে হাসপাতালে। ১৭ দিন টানেলে আটকা থাকায় তাদের নানা ধরনের শারীরীক সমস্যা দেখা দিতে পারে। সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক প্রশাসন।
ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, শ্রমিকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য টানেলের মুখ থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত গ্রিন করিডোর করা হয়েছে। সুড়ঙ্গ থেকে বার করার পর অ্যাম্বুল্যান্সে করে শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়া হবে উত্তরকাশীর জেলা হাসপাতালে।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার দুপুরে টানেলে পাইপ বসানোর কাজ শেষ হয়। এরপর শ্রমিকদের কাছে পৌঁছেছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। তাদের উদ্ধারের পর সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত রয়েছে দেশটির বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনী।
আরও পড়ুন: ভারতে টানেলে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু
টানেলে শ্রমিকদের উদ্ধার করার জন্য সুড়ঙ্গ করে পাইপ বসানো হয়েছে। সেই পাইপের মধ্য দিয়েই স্ট্রেচারে করে এক এক করে বের করে আনা হবে শ্রমিকদের। ইঁদুরের মতো গর্ত খনন করে বসানো হয়েছে পাইপ। যন্ত্রের পরিবর্তে খননকাজ চালানো হয়েছে হাত দিয়ে।
টানেল থেকে উদ্ধার করে শ্রমিকদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর অ্যাম্বুল্যান্সে করে উত্তরকাশীর জেলা হাসপাতালে নেয়া হবে। এরই মধ্যে টানেলের মুখে অস্থায়ী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত করা হযেছে। সেখান থেকে জেলা হাসপাতালের দূরত্ব প্রায় ৪৫ কিলোমিটার। জেলা হাসপাতালের পাশে অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে হেলিকপ্টার। কোনও শ্রমিকের অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত আকাশপথে নেয়া হবে হাসপাতালে।
বিজ্ঞাপন
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উত্তরকাশী জেলা হাসপাতালে ট্রমা কেয়ার ইউনিট, আইসিইউ শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শরীরের পাশাপাশি মানসিক চিকিৎসাও চলবে শ্রমিকদের।
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় এলে হায়দরাবাদের নাম বদলে ভাগ্যনগর করা হবে: যোগী
১২ নভেম্বর সকালে ব্রহ্মখাল-য়ামুনোত্রী মহাসড়কে নির্মাণাধীন টানেলে কাজ করার সময় ধস নামে। তখন এর মধ্যে আটকা পড়েন ওই ৪১ জন শ্রমিক। তারপর থেকে তাদের উদ্ধারের জন্য নেওয়া বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। মনে করা হচ্ছিল যে, তাদের উদ্ধারে আরও অনেকটা সময় লাগতে পারে।
চারধাম যাত্রার রাস্তা চওড়া করার জন্য উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর কাছে পাহাড় কেটে এই টানেল তৈরির কাজ চলছিল। চারধাম অর্থাৎ, কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, গঙ্গোত্রী এবং য়ামুনোত্রীর সংযোগ স্থাপনে এই রাস্তা গুরুত্বপূর্ণ।
একে