আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৬ নভেম্বর ২০২৩, ১০:০০ পিএম
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনিদের চার সামরিক কমান্ডার নিহত হয়েছে। তারা হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডসের যোদ্ধা ছিলেন।
রোববার হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘গাজা উপত্যকায় তাদের মোট চারজন সামরিক কমান্ডার নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে উত্তর গাজা ব্রিগেডের কমান্ডারও রয়েছেন।’
আরও পড়ুন: গাজা থেকে নেকলেস চুরি করেছে ইসরায়েলি সেনা
আহমাদ আল-গান্দোর ছিলেন কাসাম ব্রিগেডসের সর্বোচ্চ নেতা। আল-গান্দোরের নিহত হওয়ার তথ্যটি বার্তা আদানপ্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে নিজেদের চ্যানেলে জানিয়েছে কাসাম ব্রিগেডস। তবে কখন এবং কোথায় তিনি মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে বিবৃতিতে কিছু জানানো হয়নি।
এর আগেও ইসরায়েল অন্তত তিনবার আল-গান্দোরকে হত্যার চেষ্টা করেছে। ওয়াশিংটনের কাউন্টার টেররিস্ট প্রজেক্টের তথ্য অনুযায়ী, ২০০২ সাল থেকেই নানান সময়ে ইসরায়েল তাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল।
আরও তিন শীর্ষস্থানীয় নেতার মৃত্যুর তথ্যও জানিয়েছে কাসাম ব্রিগেডস। এদের একজন হচ্ছেন আয়মান সিয়াম। ইসরায়েলি গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, সিয়াম ছিলেন কাসাম ব্রিগেডসের রকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান।
যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর আশা কাতারের
ইসরায়েল ও ইসলামপন্থী হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী কাতার সরকার আশা করছে বর্তমানে সম্মত হওয়া চার দিনের বাইরেও যুদ্ধবিরতি বাড়ানো যাবে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনকে বলেছেন, ‘‘আমরা আশা করছি এই দুই দিনের মুক্তি এবং চার দিনের চুক্তি থেকে যে গতি এসেছে, তার ফলে এই চার দিনের পরেও যুদ্ধবিরতি আরও বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হবে। এজন্য বাকি জিম্মিদের বিষয়ে আরও গুরুতর আলোচনায় যেতে হবে।''
দুই দফায় এখনও পর্যন্ত ২৬ ইসরায়েলি নাগরিক, চার থাই এবং এক ফিলিপিনো নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে হামাস। বিনিময়ে ৭৮ ফিলিস্তিনি বন্দীকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় ৮ ফিলিস্তিনি নিহত
চার দিনের চুক্তি অনুযায়ী, ১৫০ ফিলিস্তিনি বন্দীর বিনিময়ে দ্বৈত নাগরিকসহ মোট ৫০ জন জিম্মিকে হামাস মুক্তি দিতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে। চলমান চুক্তি সইয়ের আগে হামাস আগ্রহী হলে আরও জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর কথা জানিয়েছিল ইসরায়েল।
রোববার যেসব জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হতে পারে, তাদের তালিকা ইসরায়েলকে পাঠিয়েছে হামাস। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দফতর জানিয়েছে, নিরাপত্তাবাহিনী এবং জিম্মিদের পরিবার এই তালিকা খতিয়ে দেখছে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে
এমইউ