শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

যুদ্ধবিরতির মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় ৮ ফিলিস্তিনি নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:৩৫ পিএম

শেয়ার করুন:

যুদ্ধবিরতির মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় ৮ ফিলিস্তিনি নিহত
পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিরা। ছবি: এপি

যুদ্ধবিরতির মধ্যে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনী কমপক্ষে আট ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। রোববার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য দিয়েছে।

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির তৃতীয় দিনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে শুধু জেনিন শহরেই মারা গেছেন পাঁচ ফিলিস্তিনি। বাকি তিনজন মারা গেছেন পশ্চিম তীরের অন্য কয়েকটি এলাকায়। জেনিন শহরে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ছয় ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির সময় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের নানান বিধি-নিষেধ

ফিলিস্তিনের ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা বিভিন্ন দিক থেকে জেনিন শহরে হামলা করে। এ সময় তারা টানা গুলিবর্ষণ করতে থাকে এবং সরকারি হাসপাতাল ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান কার্যালয় ঘেরাও করে। 

পরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র বলেছেন, তারা এই অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।

গাজা উপত্যকায় যখন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চার দিনের যুদ্ধবিরতি চলছে, তখন পশ্চিম তীরে ইসরায়েলিরা এই আগ্রাসন চালায়। গত ৭ অক্টোবর গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনাদের হাতে ২৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।


বিজ্ঞাপন


এবার উত্তর গাজা থেকে হাজারে হাজার ফিলিস্তিনির পালিয়ে প্রধান সড়ক দিয়ে হেঁটে দক্ষিণে যাওয়ার যে দৃশ্য সেটা অনেককেই ১৯৪৮ সালে আরবদের বিপক্ষে ইসরায়েলের স্বাধীনতা যুদ্ধে জয়ের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।

যে সাত লাখেরও বেশি মানুষ ইসরায়েলি বাহিনীর অস্ত্রের মুখে তাদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে সেটাকে ফিলিস্তিনিরা আল নাকবা বা মহাবিপর্যয়ের সঙ্গেও তুলনা করছে। সেই ১৯৪৮ সালের শরণার্থীদের পরের প্রজন্মের বেশিরভাগই এখন গাজা উপত্যকার বাসিন্দা।

আর কিছু উগ্র ইহুদী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী, যারা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সমর্থক, তাদের অনেকের ফিলিস্তিনিদের ওপর আরেকটি নাকবা আরোপের মতো ভয়ংকর কথাবার্তা, যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র শিবিরেরই কিছু আরব দেশ বিশেষ করে জর্ডান ও মিসরকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।

এমনকি নেতানিয়াহু সরকারের একজন মন্ত্রী তো হামাসকে মোকাবেলা করার জন্য গাজায় পারমাণবিক বোমা ফেলার ইঙ্গিতও দেন। তাকে তিরস্কার করা হলেও বহিষ্কার করা হয়নি।

আরও পড়ুন: গাজা থেকে নেকলেস চুরি করেছে ইসরায়েলি সেনা  

এসবকে পাগলের আলাপ বলে উড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু জর্ডান ও মিসর এ বিষয়টাকে গুরুত্ব সহকারেই নিয়েছে।

আর যদি গাজায় যুদ্ধের কথা বলা হয়, তাহলে বিভিন্ন পশ্চিমা দেশের উচ্চপদস্থ কূটনীতিকরা বিবিসিকে বলেছেন, যুদ্ধ এবং তার পরবর্তি পরিস্থিতি মোকাবেলা করা হবে খুবই ‘কঠিন এবং বিশৃঙ্খল’।

একজন বলেছেন, “একমাত্র রাস্তা হবে ফিলিস্তিনের জন্য একটা রাজনৈতিক দিগন্ত পুন:নির্মান করা।” তিনি মূলত ইসরায়েলের পাশাপাশি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দিকে ইঙ্গিত করেছেন, তথাকথিত ‘টু-স্টেট’ সমাধান, যা ব্যর্থ হয়ে এখন শুধু স্লোগানেই টিকে আছে।

সূত্র : এপি, ওয়াফা নিউজ এজেন্সি, বিবিসি

এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর