images

আন্তর্জাতিক

ইয়েমেনে ভারতীয় নার্সকে ফাঁসির আদেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:২৮ পিএম

ভারতীয় নার্সকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে ইয়েমেনের সুপ্রিম কোর্ট। কেরালার বাসিন্দা নিমিশা প্রিয়া নামের ওই নার্স ইয়েমেনে গিয়ে এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ আছে। 

এই পরিস্থিতিতে মেয়েকে বাঁচাতে পশ্চিম এশিয়ার ওই দেশে যেতে চান নিমিশার মা। গত বৃহস্পতিবার ইয়েমেন যাওয়ার আর্জি নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে তাদের অবস্থান জানাতে বলেছে উচ্চ আদালত।

আরও পড়ুন: ভারতে ৬ দিন ধরে টানেলে আটকা ৪১ শ্রমিক, বাড়ছে ক্ষোভ

২০১১ সাল থেকে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় নার্স হিসেবে কাজ করছেন নিমিশা। ২০১৭ সালে তালাল আবদো মাহদি নামের এক ব্যক্তিকে দেখভালের সময় তাকে খুন করার অভিযোগ ওঠে নিমিশা এবং তার সঙ্গী ইয়েমেনের নাগরিক হানানের বিরুদ্ধে। 

শুধু তাই নয়, প্রথমে ইন্‌জেকশন দিয়ে খুন করে, পরে লাশটি একটি পানির ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। নিমিশা অবশ্য পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে জানিয়েছিলেন, নিহত ব্যক্তি তার পাসপোর্ট আটকে রেখেছিলেন। তাই ওই ব্যক্তিকে ওষুধ দিয়ে অচেতন করে পাসপোর্টটি উদ্ধার করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ওষুধের মাত্রা বেশি হওয়ায় প্রাণ হারান ৫৬ বছরের ওই ব্যক্তি।

নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৮ সালে গ্রেফতার হন নিমিশা এবং তার সঙ্গী। এরপর ভারতীয় এ নার্সকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় এবং তার সঙ্গীকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডের সাজার বিরুদ্ধে সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নিমিশা। গত ১৩ নভেম্বর তার আর্জি খারিজ করে দেয় আদালত। নিমিশার প্রাণভিক্ষার বিষয়টি এখন ইয়েমেনের প্রেসিডেন্টের কাছে বিচারাধীন।

আরও পড়ুন: মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভারতবিরোধী মুইজ্জুর শপথ 

এই পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক স্তরে বিষয়টি নিয়ে যাতে ভারত ইয়েমেনের সঙ্গে কথা বলে সেই আর্জি নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে যান নিমিশার মা। এর পাশাপাশি ইয়েমেনে গিয়ে নিহতের পরিবারকে ‘ক্ষতিপূরণ’ তুলে দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ারও আবেদন জানান তিনি। আদালতে মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত নার্সের মা জানান, তার মেয়ের আট বছরের একটি সন্তান রয়েছে। তাই সব দিক বিবেচনা করে তাকে যেন অনুমতি দেওয়া হয়। এ বিষয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে দ্রুত অবস্থান জানাতে বলেছে হাইকোর্ট। এর আগে এই মামলার শুনানিতে নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্র মধ্যস্থতা করুক— এমন আর্জিতে কর্ণপাত করেনি আদালত। কিন্তু মৃত্যুদণ্ডের সাজা রুখতে কেন্দ্রকে সম্ভাব্য আইনি পথ বাতলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।

সূত্র : এবিপি

এমইউ