ভারতে ছয় দিন ধরে টানেলে আটকে আছেন ৪১ শ্রমিক। এখনও কেন তাদের উদ্ধার করা গেল না, উদ্ধারকাজে কেন দেরি হচ্ছে, এ রকম একাধিক প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ দেখাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
শ্রমিকদের অভিযোগ, নির্মাণকারী সংস্থা শুধু উদ্ধারের নানান ধরনের পন্থা নিয়েই ব্যস্ত। উদ্ধারকাজের জন্য ঠিক মতো চেষ্টাই করা হচ্ছে না।
বিজ্ঞাপন
উদ্ধারকাজে কেন দেরি হচ্ছে, ঘটনার পর ছয় দিন কেটে গেলেও আটকে থাকা শ্রমিকদের কেন উদ্ধার করা গেল না, এ রকম একাধিক প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ দেখালেন ওই শ্রমিকদের সহকর্মীরা। তাদের অভিযোগ, নির্মাণকারী সংস্থা উদ্ধারের ক্ষেত্রে সঠিক পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
আরও পড়ুন: নাম উল্লেখ না করে চীন ও পাকিস্তানকে ভারতের কড়া বার্তা
উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা টানেল নির্মাণের জন্য ভারতের নানান প্রান্ত থেকে পরিযায়ী শ্রমিকেরা এসেছেন। বিহার থেকে আসা এক শ্রমিক ইন্ডিয়া টু়ডে টিভিকে বলেছেন, “ওরা শুধু পরীক্ষা-নিরীক্ষাই করে যাচ্ছে। শ্রমিকদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে না। আমাদের সঙ্গেও কোনো কথা বলতে চাইছে না নির্মাণকারী সংস্থা।”
শ্রমিকদের অভিযোগ, নির্মাণকারী সংস্থা এবং সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার এই ঘটনার জন্য দায়ী। ১৫০ ঘণ্টারও বেশি সময় কেটে গেছে। কিন্তু এখনও উদ্ধার করা যায়নি আটকে থাকা ৪১ শ্রমিককে।
বিজ্ঞাপন
তাদের উদ্ধারের জন্য আমেরিকা থেকে আধুনিক যন্ত্রপাতি, বিশেষ উদ্ধারকারী দল আনা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও কেন উদ্ধার করা যাচ্ছে না, তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত অন্য শ্রমিকদের মধ্যে। যদিও শনিবার বিকল্প পথে সুড়ঙ্গের উপরিভাগ খুঁড়ে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর কাজ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভারতবিরোধী মুইজ্জুর শপথ
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আরনল্ড ডিক্সের সঙ্গে। তিনি এক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ভারতে যাচ্ছি। টানেলে আটকে পড়াদেরকে উদ্ধার করতেই হবে। উত্তরকাশীতে থাকা আমার দলের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। কীভাবে নিরাপদে শ্রমিকদের বের করে নিয়ে আসা যায় - তা নিয়ে আলোচনাও হয়েছে।’
গত ১২ নভেম্বর ভেঙে পড়েছিল টানেলের একাংশ। তার ভিতরেই আটকে পড়েন ৪০ জন শ্রমিক। তাদের কাছে পৌঁছনো না গেলেও কংক্রিটের ধ্বংসস্তূপ কিছুটা সরিয়ে পানি, অক্সিজেন এবং খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সূত্র : এবিপি
এমইউ