images

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্র-চীন বিরোধে ক্ষতিগ্রস্ত চিপ শিল্প: টিএসএমসি প্রতিষ্ঠাতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

৩০ অক্টোবর ২০২৩, ০১:৪৫ পিএম

প্রযুক্তি খাতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বিরোধ বৈশ্বিক চিপ খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফলে এ খাতের প্রবৃদ্ধি অনেকটাই বাধার সম্মুখীন হবে। সম্প্রতি তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির (টিএসএমসি) প্রতিষ্ঠাতা মরিস চ্যাং এ কথা জানান।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ১৯৮০-এর দশকে টিএসএমসি প্রতিষ্ঠা করেন চ্যাং। সম্প্রতি নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে অলাভজনক সংস্থা এশিয়া সোসাইটি। সেখানে চ্যাং জানান, তাইওয়ানকে চিপ উৎপাদনে বিশ্বের অন্যতম দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে তার কোম্পানি ভূমিকা রাখছে।

গত মাসে হুয়াওয়ে চীনের স্থানীয় চিপ দিয়ে তৈরি স্মার্টফোন উন্মোচনের পর এ মাসের শুরুতে চিপ ও চিপ তৈরির কাঁচামাল রফতানিতে চীনের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ৯২ বছর বয়সী চ্যাং বলেন, চিপশিল্পে চীনকে একঘরে করে ফেললে এর প্রভাব অন্যান্য দেশের ওপরও পড়বে।

আরও পড়ুন: চীন পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার বাড়াচ্ছে: যুক্তরাষ্ট্র

চ্যাং মনে করেন, এমন নিষেধাজ্ঞার কারণে সব পক্ষেরই কাজের গতি কমে আসবে। এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য চীনকে ঠেকানো। আমার মনে হয় না এটি তেমন কাজে লাগছে। 

প্রযুক্তি খাতে চীনের আধিপত্য রোধে দীর্ঘদিন থেকেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এর অংশ হিসেবে দেশটিতে চিপ তৈরির সরঞ্জাম রফতানিতে আরও বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। এ নিয়ে আলোচনা বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এমনটি জানিয়েছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্বজুড়ে চিপ তৈরির উপকরণের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস ও জাপান। চলতি বছরের শুরুর দিকে দেশ তিনটি চীনের কাছে এসব উপকরণ রফতানি সীমিত করতে একযোগে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিদেশী প্রযুক্তিনির্ভরতা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে বেইজিং। দেশীয় কোম্পানিগুলোকে স্থানীয় সফটওয়্যার ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে দেশেই চিপ উৎপাদনের ওপর।

আরও পড়ুন: কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জকে সম্পূর্ণ সামরিকীকরণ করেছে চীন: যুক্তরাষ্ট্র

ওই আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশংসা করেন চ্যাং। এর পাশাপাশি, অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে টিএসএমসি’র কারখানা তৈরির বিষয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

চ্যাংয়ের জন্ম ও কৈশোর চীনে কাটলেও তিনি ক্যারিয়ার গড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। তাইওয়ানে চিপ কোম্পানি চালুর আগেই ১৯৬২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পান তিনি। বর্তমানে তাকে দেখা হয় চিপ শিল্পের এমন এক কিংবদন্তি হিসেবে, যিনি দুই দেশের চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে আটকা পড়েছেন।

তিনি বলেন, আমি সত্যিই যুক্তরাষ্ট্রকে নিজের দেশ মনে করি। আর আমরা এমন সমস্যার মুখে পড়লেও, গোটা বিশ্ব এখনও যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে আশাবাদী।

একে