দক্ষিণ চীন সাগরে অন্তত তিনটি কৃত্রিম দ্বীপকে সম্পূর্ণরূপে সামরিকীকরণ করেছে বেইজিং। এমন মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডার অ্যাড. জন সি. অ্যাকুইলিনো।
বিতর্কিত জল সীমাটিতে জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, লেজার-জ্যামিং সরঞ্জাম এবং ফাইটার জেট মোতায়েন করা হয়েছে বলে দাবি তার। দ্বীপপুঞ্জের সামরিকীকরণকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অতীত আশ্বাসের সম্পূর্ণ বিপরীত বলে দাবি করেছেন কমান্ডার অ্যাকুইলিনো।
বিজ্ঞাপন
রোবাবর (২০ মার্চ) তিনি বলেন, ‘‘আমি মনে করি গত ২০ বছরে আমরা পিআরসি (চীনের সেনাবাহিনী) দ্বারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় সামরিক নির্মাণের সাক্ষী হয়েছি।’’কমান্ডার অ্যাকুইলিনো বলেন, ‘‘তারা তাদের সমস্ত সামর্থ্যকে উন্নত করেছে এবং এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলছে।’’
ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডারের দাবির পর চীনা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। চীনের দাবি ‘সার্বভৌম অধিকার রক্ষা করার জন্য প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা’ গ্রহণের অংশ হিসেবে সাগরে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে দেশটি।
বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বে লিপ্ত একাধিক দেশ। স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জ, স্কারবরো শোল অঞ্চল, প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জসহ বেশ কিছু প্রবাল দ্বীপকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে আসছে চীন।
খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসে সমৃদ্ধ অঞ্চলটিতে মালিকানা প্রতিষ্ঠায় জলসীমায় একাধিক কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করেছে বেইজিং। এর আগে কৃত্রিমভাবে নির্মিত বেশ কয়েকটি দ্বীপে বিমান ঘাঁটি, গোলাবারুদের বাঙ্কার, রাডার ক্ষেত্র এবং ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপক সরঞ্জাম মোতায়েনের ছবি প্রকাশ করেছিল পশ্চিমা উপগ্রহ এবং পর্যবেক্ষণ বিমানগুলো।
বিজ্ঞাপন
সূত্র: এপি
টিএম