আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৪৮ এএম
অধিকৃত ক্রিমিয়ার রুশ নৌবহরের সদর দফতরে হামলায় নৌবহরের হামলায় কমান্ডার অ্যাডমিরাল ভিক্টর সোকোলোভসহ ৩৪ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এ দাবি করে কিয়েভ। গত শুক্রবার রুশ নৌবহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইউক্রেন।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, কমান্ডার সোকোলোভের নাম ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রকাশ করেছে ইউক্রেন প্রশাসন। তবে এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখায়নি তারা।
ইউক্রেনের বিশেষ বাহিনী দাবি করেছে, শুক্রবারের হামলায় ভিক্টর সোকোলভসহ আরও ৩৩ জন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও শতাধিক রাশিয়ান সেনা আহত হয়েছেন।
তবে মস্কো বলছে, সেভাস্তোপলে ইউক্রেনের হামলার ফলে তাদের একজন সেনাকর্মী নিখোঁজ রয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নতুন ক্ষেত্র ক্রিমিয়া!
মস্কোর দখলে থাকা ক্রিমিয়ার সেভাস্তোপোলে নৌবহরের সদর দফতরে ওই হামলা চালানো হয়। তবে অ্যাডমিরাল ভিক্টর সোকোলোভের মৃত্যুর বিষয়ে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। তিনি ছিলেন ব্ল্যাক সি ফ্লিটের কমান্ডার এবং রাশিয়ার একজন অন্যতম শীর্ষ নৌ-কর্মকর্তা।
মস্কোর দখলে থাকা ক্রিমিয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে হামলা বাড়িয়েছে ইউক্রেন। তবে এসব হামলা মোকাবেলায় মস্কোও অতিরিক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছিল। এটি দুপক্ষের জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। ওই অঞ্চল থেকেই গত ১৯ মাস ধরেই ইউক্রেনের ওপর বিভিন্ন সময়ে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে রাশিয়া।
ইউক্রেনে রুশ আক্রমণকে আঞ্জাম দেওয়ার ক্ষেত্রে মূল কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে ক্রিমিয়া। এ অঞ্চলের সেভাস্তোপল শহরটি ১৯ শতক থেকে রুশ কৃষ্ণসাগরীয় নৌবহরের প্রধান ঘাঁটি। রুশ-ইউক্রেনীয় যুদ্ধের শুরু থেকেই রাশিয়ান নৌবাহিনীর অভিযানের জন্য এ ঘাঁটিটি বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে কি ছায়াযুদ্ধে জড়িয়েছে রাশিয়া-পশ্চিমারা?
গত সপ্তাহে ইউক্রেন ক্রিমিয়ায় রাশিয়া নৌবহর ও বন্দরের অবকাঠামোতে হামলা চালিয়ে একটি সাবমেরিন এবং একটি যুদ্ধজাহাজের ক্ষতিসাধন করেছিল।
রাশিয়া ২০১৪ সালে ক্রিমিয়াকে নিজ ভূখণ্ডের সঙ্গে একীভূত করে নেয়। এই উপদ্বীপের সেভাস্তোপোলে রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর নৌবহরের সদর দপ্তর অবস্থিত। রাশিয়ার দখল থেকে ক্রিমিয়া পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার করেছে ইউক্রেন। সম্প্রতি উপদ্বীপটিতে হামলা জোরদার করেছে কিয়েভ।
একে