images

বিনোদন

ফরিদা পারভীনের জন্মদিনে বিশেষ আয়োজন পেছাল

বিনোদন প্রতিবেদক

৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১৮ এএম

গত ১৩ সেপ্টেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। মৃত্যুর পর প্রথম জন্মদিনে তাঁকে স্মরণ করতে বিশেষ আয়োজন করেছিল গায়িকার হাতেগড়া সংগীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘অচিন পাখি সংগীত একাডেমি’। ৩১ ডিসেম্বর গায়িকার ৭১তম জন্মদিনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে এই বিশেষ আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পর তা পিছিয়ে গেছে। বিষয়টি ঢাকা মেইলকে নিশ্চিত করেছেন ফরিদা পারভীনের স্বামী গাজী আবদুল হাকিম।  

তিনি বলেন, ‘৩১ ডিসেম্বর ফরিদা পারভীনকে কেন্দ্র করে যে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছিল তা স্থগিত করা হয়েছে। এটি আগামী ১৩ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে।’ 

যেখানে থাকবে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উপস্থিত থাকবেন সংগীতাঙ্গনের নানা গুণীজন।

বিশেষ এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মাহবুবা ফারজানা এবং শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক রেজাউদ্দিন স্টালিন। উদ্বোধন করবেন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ। সভাপতিত্ব করবেন ফরিদা পারভীনের স্বামী ও নন্দিত বংশীবাদক গাজী আবদুল হাকিম।

১৯৫৪ সালে ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়ায় জন্ম ফরিদা পারভীনের। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তাঁর পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয়। ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুল সংগীত গাইতে শুরু করেন ফরিদা পারভীন। ১৯৭৩ সালের দিকে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। সাধক মোকসেদ আলী শাহের কাছে লালন সংগীতের তালিম নেন ফরিদা পারভীন।

সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে একুশে পদক পান তিনি। এছাড়াও অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা রয়েছে তার। এছাড়া ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারও পেয়েছেন। সেরা প্লে-ব্যাক গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন ১৯৯৩ সালে।