ঢাকা মেইল ডেস্ক
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:০৭ পিএম
শেষ হয়েছে অপেক্ষা। হয়ে গেল বহুল প্রতিক্ষীত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচন। ঘোষণা হয়েছে ফলাফলও। ২৮টি পদের মধ্যে ভিপি, জিএস ও এজিএস-সহ ২৩টিতেই ভূমিধস জয় পেয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে ছাত্রশিবিরের প্যানেল।
এ নিয়ে তুমুল আলোচনা রাজনৈতিক অঙ্গণসহ বিভিন্ন মহলে। সেই আলোচনার কোথাও নেই ভিপি প্রার্থী জালাল আহমেদ ওরফে জ্বালাময়ী জালাল। অথচ ভোটের আগে রুমমেটকে মেরে আহত করে আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছিলেন তিনি। বর্তমানে রয়েছেন কারাগারে।
কত ভোট পেলেন সেই জালাল?
ডাকসুর রেজাল্ট শিট বলছে, ঢাবির ১৯টি হল থেকে ভিপির এই প্রার্থী পেয়েছেন মাত্র ৮টি ভোট। অধিকাংশ হলে কোনো শিক্ষার্থীই জালালকে ভোট দেননি। ফলে সাদিক কায়েম, আবিদ, ওমামা ফাতেমাদের সঙ্গে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেননি তিনি।
গত ২৬ আগস্ট মধ্যরাতে উচ্চ শব্দে চেয়ার টেনে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে নিষেধ করায় ঢাবির হলে রুমমেট রবিউলকে পিটিয়ে আহত করেন জালাল। প্রথমে তাকে চেয়ার দিয়ে পেটান এবং পরে ভাঙা টিউবলাইট দিয়ে আঘাত করেন। এতে রবিউলের বুকে মারাত্মক জখম হয়।
এসময় অন্য শিক্ষার্থীরা আহত রবিউলকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে ভর্তি করান। এ ঘটনায় জালালকে হল থেকে বহিষ্কার করে ঢাবি প্রশাসন এবং তার বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় হত্যাচেষ্টা মামলাও করে। পরে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরদিন জালালকে আদালতে তোলা হয়। তিনি জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে গত ২ সেপ্টেম্বর ফের জামিন আবেদন করেও শুনানিতে যাননি তার আইনজীবী। পরের দিন শুনানি হলেও জালালকে জামিন দেননি আদালত।
ফলে কারাগারে বসেই ডাকসু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়েছে এই ভিপি প্রার্থীকে। ভোটের আগে রুমমেটকে রক্তাক্ত করে যে বিতর্কের জন্ম তিনি দেন, সেটিকেই তার এত কম ভোট পাওয়ার কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। ওই কাণ্ড না ঘটালে হয়তো আরও কয়েকটি ভোট বেশি পেতেন।
যদিও ভিপি প্রার্থী হিসেবে বরাবরই জালাল ছিলেন আলোচনার বাইরে। রুমমেটকে পেটানোর আগে তাকে তেমন কেউ চিনতেনও না। ওই একটি ঘটনা তাকে শিক্ষার্থীসহ পুরো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ভিলেন বানিয়ে দেয়। তারই প্রমাণ মিলল ডাকসুর ভোটে।
এবারের নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জিতে ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রশিবির প্যানেলের সাদিক কায়েম। জিএস এবং এজিএস হয়েছেন একই প্যানেলের এসএম ফরহাদ ও মহিউদ্দিন খান। শীর্ষ এই তিন পদ ছাড়াও ২৮ পদের ২৩টিতেই জিতেছে ছাত্রশিবির।
এএইচ