শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

রুমমেটকে হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে ডাকসুর ভিপি প্রার্থী জালাল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০৫:১৯ পিএম

শেয়ার করুন:

Jalal
বামপাশের ছবিতে ছুরাকাঘাতে আহত ঢাবি শিক্ষার্থী। ডানে হামলাকারী স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী জালাল। ছবি- সংগৃহীত।

রুমমেটকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় হওয়া মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী জালাল আহমদ জালালকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।

বুধবার (২৭ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।


বিজ্ঞাপন


এদিন হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জালালকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই আসাদুল ইসলাম। 

অপর দিকে জালালের আইনজীবী তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আসামিকে কারাগারে পাঠান। 

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী রবিউল নিজের কক্ষে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে টেলিভিশন অ্যান্ড ফিল্ম বিভাগের শিক্ষার্থী জালাল হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের ৪৬২ নম্বর রুমে ঢুকে বৈদ্যুতিক লাইট জ্বালান এবং চেয়ার টানা হেচড়া করে বিকট শব্দ করতে শুরু করেন। 


বিজ্ঞাপন


এ ঘটনায় রবিউলের ঘুম ভেঙে যায়। তিনি জালালকে বলেন, ভাই সকালে আমি লাইব্রেরিতে যাবো, আপনি একটু আস্তে শব্দ করেন। জালাল তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে রবিউলের সঙ্গে তর্ক শুরু করেন এবং এক পর্যায়ে রবিউলকে হত্যা করার উদ্দেশে কাঠের চেয়ার দিয়ে মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করেন।

এসময় রবিউল তার হাত দিয়ে কাঠের চেয়ারের আঘাত প্রতিহত করলেও চেয়ারের আঘাতে তার কপালে জখম হয়। পরে জালাল ওই রুমের ভেতর থাকা পুরনো টিউব লাইট দিয়ে রবিউলকে হত্যার উদ্দেশে তার মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করেন। রবিউল মাথা সরিয়ে নিলেও তার বুকের বাঁ পাশে আঘাত লাগে এবং টিউব লাইট ভেঙে কাটা জখম হয়। জালাল তখন ভাঙা ও ধারালো টিউব লাইট দিয়ে রবিউলকে আঘাত করলে তিনি বাঁ হাত দিয়ে প্রতিহত করেন। তাতে হাতে কাটা জখম হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।

এ ঘটনায় বুধবার (২৭ আগস্ট) হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম ঢাবি প্রশাসনের পক্ষে বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় জালালের নামে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। পরে সেই মামলায়তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।

শুধু মামলা নয়, একইসঙ্গে রুটমেটের উপর হামলার অভিযোগে জালালকে ঢাবির হল থেকেও বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণও।

এআইএম/এএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর