নিজস্ব প্রতিবেদক
০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৫১ পিএম
চলতি মাসে এক বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আরও এক লাখ নতুন ভ্যাট নিবন্ধন সম্পন্ন করবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান।
মঙ্গলবার (০৯ ডিসেম্বর) এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে ‘এনবিআর দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
এনবিআর জানায়, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক ১০ ডিসেম্বর ভ্যাট দিবস পালিত হবে। পাশাপাশি ১০-১৫ ডিসেম্বর ভ্যাট সপ্তাহ পালন করা হবে। নিবন্ধনকে গুরুত্ব প্রদান করে এ বছরের ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে “সময়মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব”।
এ প্রতিপাদ্যকে গুরুত্ব দিয়ে আগামী ১০ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী বিশেষ নিবন্ধন ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে যার উদ্দেশ্য হবে ১ লাখ নতুন ভ্যাট নিবন্ধন প্রদান করা। বর্তমানে দেশে ভ্যাট নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৪৪ হাজার।
প্রেস ব্রিফিংয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান বলেন, বিগত অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মোট আদায়ের ৩৮% ভ্যাট হতে আদায় করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে বিগত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২২% বেশি ভ্যাট আদায় হয়েছে। ভ্যাট আদায় ব্যবস্থাপনা জোরদার করার মাধ্যমে ভ্যাটের আদায় উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করে দেশের আর্থিক বুনিয়াদ মজবুত করা সম্ভব।
তিনি বলেন, ‘দেশের প্রকৃত মালিক জনগণ কর্তৃক পরিশোধিত রাজস্ব সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সড়ক ও রেল অবকাঠামো নির্মাণ, ঋণ পরিশোধ, সামাজিক সুরক্ষা, কৃষি, বিদ্যুৎ ও শিল্প খাতে ভর্তুকি প্রদানসহ নানাবিধ জনকল্যাণে ব্যয় করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভ্যাট আদায়ের ক্ষেত্রে নানামুখী চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যেমন- অনিবন্ধিত ব্যবসা, পূর্ণাঙ্গ অটোমেশনের অভাব, রেয়াত-শৃঙ্খল কার্যকর না হওয়া, অতিরিক্ত অব্যাহতি, ম্যানুয়াল অডিট ব্যবস্থা, ই-কমার্স ও উদীয়মান ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোর থেকে ভ্যাট সংগ্রহ করতে না পারা প্রভৃতি। বিদ্যমান এ চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলায় রাজস্ব ব্যবস্থাকে আধুনিক এবং ডিজিটালাইজড করার লক্ষ্যে অনলাইন সিস্টেমে নিবন্ধন গ্রহণ, অনলাইন রিটার্ন দাখিল, ই-সহগ, অনলাইন পেমেন্ট, ই-রিফান্ড, ই-অডিট, ভ্যাট স্মার্ট চালান প্রবর্তন, ভ্যাট ফাঁকি মোকাবেলায় 'রিস্ক-বেসড' অডিট সিস্টেম চালুসহ বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’
আব্দুর রহমান খান বলেন, ‘করদাতাদের স্বেচ্ছায় কর প্রদান নিশ্চিত করা এবং কর ফাঁকি কমানোই এনবিআরের প্রধান লক্ষ্য। একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য পূরণে একটি শক্তিশালী ও দক্ষ ভ্যাট ব্যবস্থা অপরিহার্য। এ লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রচেষ্টার পাশাপাশি দেশের সর্বস্তরের ভোক্তা, ব্যবসায়ী, শিল্প মালিকগণ ও প্রচার মাধ্যমের যুগোপযোগী সহায়তা প্রয়োজন।’
সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর সদস্য মো. আজিজুর রহমানসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমআর/এমআই