জেলা প্রতিনিধি
০১ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২২ পিএম
প্রেমের টানে চীন থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসেছেন চীনের নাগরিক ওয়াং থাও (৩৫)। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ভিড় করছে তাকে একনজর দেখতে।
ওয়াং থাও চীনের হেনান প্রদেশের বাসিন্দা আর বাংলাদেশি তরুণীর সুমরা (১৯) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের কোনাপাড়া তাহের আলীর মেয়ে।

পুলিশ ও তরুণীর পরিবার সূত্রে গেছে, কয়েক মাস আগে একটি আপ্যাসের মাধ্যমে পরিচয় হয় ওয়াং থাও ও সুরমা আক্তারের। পরে তাদের মধ্যে একসময় প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। গত ৩১ অক্টোবর নিজের পাসপোর্ট ব্যবহার করে বাংলাদেশ আসেন ওই চীনা যুবক। পরে সুমরা তাকে বিমানবন্দর থেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন। আগামীকাল (২ নভেম্বর) জেলা জজ আদালতে নোটারির পাবলিক করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবেন ওয়াং থাও। নাম রাখবেন আব্দুল্লাহ।
তবে ওয়াং থাও চীনা ভাষা ছাড়া অন্য কোনো ভাষা বুঝে না। অ্যাপসের মাধ্যমে কর্নভাট করে ভাষা বুঝাতে হয়।
বাংলাদেশি তরুণী সুমরা বলেন, আমাদের মধ্যে কয়েক মাস আগে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় ওর্য়ান্ড টক নামক একটি অ্যাপসের মাধ্যমে। পরে সে আমাকে বিয়ে করতে বাংলাদেশে আসে। সে কোনো ধর্মের বিশ্বাস করত না। এখন আইনানুসারে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে আমাকে বিয়ে করবে। বিয়ের পর আমাকে চীনে নিয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, সে আসার পর থেকে অনেক মানুষ বাড়িতে ভিড় করছে, এতে সে বিরক্ত হচ্ছে।
তরুণীর মা নূরের বেগম বলেন, আমার মেয়ের সঙ্গে প্রেম করে চীনের যুবক আসছে আমাদের বাড়িতে। আমরা অনেক খুশি, সে আমার মেয়েকে বিয়ে করবে।
মেয়ের বাবা তাহের আলী বলেন, আমরা ছেলের ব্যবহারে খুব খুশি। সে অনেক ভালো মানুষ। বাজার থেকে বোয়াল মাছ, দেশি মোরগ কিনে রান্না করে খাওয়াইছি।
কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দীন বলেন, আমি শুনেছি একজন চীনা নাগরিক প্রেমের টানে এসেছে।
নাসিরনগর থানার উপ-পরিদর্শক জাহান-ই-আলম বলেন, আমরা খবর পেয়ে খোঁজ নিয়েছি। সব তথ্য যাচাই করেছি। চীনা ওই যুবক বৈধভাবে বাংলাদেশ এসেছে। আমরা বলেছি কোনো ধরনের সমস্যা হলে আমাদের জানাতে।
প্রতিনিধি/এসএস