রাজশাহীর পুঠিয়ায় অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক তাকে অপহরণ করেছেন বলে ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ। এ ঘটনায় অপহরণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
অভিযুক্তের নাম মো. শরিফুল ইসলাম (৪৫)। তিনি পুঠিয়ার ৫ নম্বর শিলমারিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ও মোল্লাপাড়া এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। থানায় দায়ের হওয়া মামলায় শরিফুলসহ মোট ৬ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় অন্য আসামির হলেন- শরিফুল ইসলামের ছেলে মো. হৃদয় (২৪), স্ত্রী রোজিনা বেগম (৪০), ছোট ভাই মো. সেলিম (৩০), সাতবাড়িয়া দিয়ারপাড়া এলাকার মন্টুর ছেলে মো. নোমান (২২) ও জাগোপাড়া এলাকার মুনতাজ মণ্ডলের ছেলে এনতাজ মণ্ডল (৪০)।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ছাত্রী স্কুলে যাওয়া আসার পথে তাকে শরিফুলের ছেলে হৃদয় প্রেম ভালবাসাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রস্তাব দিত। ছাত্রী রাজি না হওয়ায় তাকে অপহরণের হুমকি দিত। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ অক্টোবর বেলা সাড়ে ৩টার সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে হৃদয় মাইক্রোবাসে উঠিয়ে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে আর পাওয়া যায়নি।
ছাত্রীর বাবা অভিযোগ করে বলেন বলেন, হৃদয় তার বাবার পদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে রাস্তা থেকে জোর করে একটি মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে গেছে। ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. শরিফুল ইসলাম অপহরণের মূল হোতা।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিলমারিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. শরিফুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে পুঠিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ওয়াসিম হোসেন জানান, স্কুলছাত্রী অপহরণের মামলায় শিলমারিয়া স্বেচ্ছাসেবক আহ্বায়ক শরিফুল ইসলামের নামে পুঠিয়া থানায় মামলার বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। জেলার আহ্বায়কের সঙ্গে আলোচনা করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজশাহী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. মাসুদুর রহমান লিটন বলেন, স্কুলছাত্রী অপহরণের সঙ্গে শরিফুল ইসলামের সম্পৃক্ততা পেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পুঠিয়া থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, থানায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ওই স্কুলছাত্রী এখনও নিখোঁজ রয়েছে। তাকে খোঁজাখুঁজি চলছে। এ ঘটনায় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিনিধি/এসএস

