images

সারাদেশ

৭ দিন ধরে ইউপি ভবনে নেই বিদ্যুৎ, নাগরিক সেবা ব্যাহত

জেলা প্রতিনিধি

২৭ জুন ২০২৫, ০৭:৩৬ পিএম

শেরপুরের শ্রীবরদীতে দীর্ঘদিন বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রাখায় খড়িয়াকাজিরচর ইউনিয়ন পরিষদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শ্রীবরদী উপজেলা শাখা।

গত ২০ জুন থেকে এই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় সাত দিন ধরে নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয় নাগরিকরা।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের জুন মাস থেকে ২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত মোট ৩ বছরে ৯৩ হাজার ৮৮৬ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পরে ইউনিয়ন পরিষদের। দীর্ঘদিন বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করার কারণে একাধিক বার মৌখিক সতর্কতা করা হয়। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় অবশেষে বাধ্য হয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে পল্লী বিদ্যুৎ।

স্থানীয় বাসিন্দা ফজল মিয়া বলেন, জন্মনিবন্ধনের আবেদন করতে তিনদিন ধরে ঘুরছি কিন্তু ফেরত দিয়ে দিচ্ছে। সচিবের কম্পিউটার বন্ধ তাই কোনো কাজ করতে পারছে না।

আরও পড়ুন

টেকনাফে ১ লাখ ২০ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেফতার ২

ভাটি লংগড়পাড়ার বাসিন্দা সিরাজুল হক বলেন, এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছাত্রহত্যার মামলার আসামি। সে গ্রেফতারের ভয়ে অফিসেই ঠিকমতো আসে না। অফিসের প্রতি তার কোনো গুরুত্ব নাই। মানুষের সেবার প্রতি নেই কোনো আগ্রহ। আমি ঢাকা থেকে এসেছি একটি কাজের জন্য। কিন্তু বিদ্যুতের জন্য কাজ হলো না। দুইদিন বাড়ি থেকে আবার ঢাকায় ফেরত যাচ্ছি।

ভাটি লঙ্গরপাড়া এলাকার খোকন মিয়া জানায়, আমি গত ৪ দিন থেকে তার বাবার মৃত্যু সনদ তোলার জন্য পরিষদে ঘুরছি। কিন্তু কারেক্ট না থাকার কারণে সনদ নিতে পারতেছি না। এমন চেয়ারম্যান থাকার চেয়ে না থাকা ভালো।

আরও পড়ুন

মেহেরপুরে বিদেশি পিস্তল ও ককটেলসহ বিএনপি নেতা আটক 

ইউনিয়ন পরিষদের সচিব খাজা মো. বাকি বিল্লাহ বলেন, আসলেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের কারণে নাগরিক সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে আমি চেয়ারম্যান সাহেবকে কয়েকবার অবগতও করেছি।

এদিকে এখানকার চেয়ারম্যান ছাত্রজনতার আন্দোলনের শহীদ শিক্ষার্থী হত্যা মামলার আসামি দুলাল মিয়া পলাতক থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।

শ্রীবরদী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম সূর্য নারায়ণ ভৌমিক বলেন, খড়িয়াকাজিরচর ইউনিয়ন পরিষদের বিদ্যুৎ বিল অনেক বকেয়া হয়ে গেছে। তাদের বারবার অবগতও করা হয়েছে। অন্যান্য অফিসের বকেয়া নিয়মিত পরিশোধ করা হলেও তারা করছিলেন না। তাই তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বকেয়া ও অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

প্রতিনিধি/এসএস