images

সারাদেশ

চুয়াডাঙ্গায় চাহিদার চেয়ে ৭৫ হাজারের বেশি কোরবানির পশু প্রস্তুত 

জেলা প্রতিনিধি

২১ মে ২০২৫, ০১:৪৮ পিএম

আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির পশু প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চুয়াডাঙ্গার খামারিরা। এ বছর জেলায় চাহিদার তুলনায় প্রায় ৭৫ হাজার বেশি গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে খামারিরা বলছেন, খরচ বেড়ে যাওয়ায় লাভ নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় আছেন, বিশেষ করে বড় গরু পালনকারীরা দাম পাওয়া নিয়ে রয়েছেন দ্বিধায়।

চুয়াডাঙ্গা জেলায় প্রতি বছর কোরবানির ঈদে পশুর চাহিদা থাকে প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার। এবার খামার ও পারিবারিক উদ্যোগে প্রায় দুই লাখ গবাদিপশু প্রস্তুত করা হয়েছে। অর্থাৎ চাহিদার চেয়ে ৭৫ হাজার বেশি পশু রয়েছে, যা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন: ৩৫ মণের 'ব্লাক ডায়মন্ড' ষাঁড়ের দাম ১২ লাখ

জেলার খামারগুলোতে দেশি ও প্রাকৃতিক উপায়ে পশু মোটাতাজা করা হচ্ছে। এখানে এক লাখ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ লাখ টাকা মূল্যের গরু পর্যন্ত প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বর্তমানে জেলায় রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার গরু, ১৪৫টি মহিষ, দেড় লাখ ছাগল এবং প্রায় ৪ হাজার ভেড়া।

চলমান তাপপ্রবাহের কারণে পশু পালন ও মোটাতাজাকরণে খামারিদের বাড়তি যত্ন নিতে হয়েছে। গরুর সঠিক যত্ন নিতে গিয়ে অনেক সময় সমস্যার সম্মুখীনও হতে হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খামারি পাভেল বলেন, “ঈদের এক মাস আগে থেকেই আমরা গবাদিপশুর বিশেষ যত্ন নেই। যে-সব গরু বিক্রির জন্য নির্ধারণ করি, সেগুলোকে আলাদাভাবে পরিচর্যা করি।”

একই এলাকার খামারি তৌহিদুল ইসলাম জানান, “আমরা প্রতিদিন তিনবার গরুটিকে পরিষ্কার করি, যাতে ক্রেতারা দেখে সন্তুষ্ট হন। আমরা খামার, স্থানীয় হাট ও অনলাইনে গরু বিক্রি করি।”

আরও পড়ুন: নেত্রকোনায় বজ্রপাতে কৃষকের ২ গরুর মৃত্যু

তবে পশু খাদ্যের দাম ও বিদ্যুৎ খরচ বাড়ায় খামারিরা লাভবান হওয়া নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।

তাজউদ্দীন এগ্রোর মালিক হাজ্জাজ আলী বলেন, “এ বছর বড় গরুর ক্রেতা খুবই কম। তুলনামূলকভাবে দাম কম পাচ্ছি। যেভাবে খাবারের দাম বাড়ছে, তাতে গরু পালন করে এখন আর লাভ হবে না।”

চুয়াডাঙ্গার খামারিরা মূলত শাহীওয়াল ও ফ্রিজিয়ান জাতের গরু লালন করে থাকেন। এছাড়াও এই জেলার বিখ্যাত ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগলের চাহিদা রয়েছে সারাদেশে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, “চুয়াডাঙ্গায় চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে। এখানকার চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য জেলায়ও গবাদিপশু পাঠানো সম্ভব হবে।”

প্রতিনিধি/ এমইউ