images

সারাদেশ

বগুড়ায় নাশকতার অভিযোগে ১১৪ জন গ্রেফতার

জেলা প্রতিনিধি

২৬ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৭ পিএম

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে নাশকতার অভিযোগে বগুড়ায় ১১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন: কোটাবিরোধী সহিংসতায় নিহত ইমতিয়াজের লাশ যাচ্ছে যশোরে

গত ১৬ জুলাই থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বগুড়ায় ব্যাপক ভাংচুর, হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে একজন নিহত হয় এবং আহত হন আরও ১২০ জন। 

আন্দোলনকারীদের বাহিরে ১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ছাত্রদের আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা জড়িত থাকার অভিযোগে বগুড়া সদর থানায় মামলা হয় ১৪টি। 

এর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে আটটি। বাকি মামলাগুলো করে রেলওয়ে (দু’টি), আওয়ামী লীগ নেতা (দু’টি), পোস্ট অফিস (একটি) এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ (একটি)। এসব মামলায় বিএনপি- জামায়াত ছাড়াও বিভিন্ন পেশার প্রায় ৩০০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। 

তবে রেলওয়ে, পোস্ট অফিস ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মামলায় কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। এসব মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে ৮৬ জনকে বলে জানিয়েছেন বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ। 

গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি হচ্ছেন - জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা। বাকিরা বিএনপি-জামায়াতের হলেও তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে।

আরও পড়ুন: বরিশালে বিএনপি-জামায়াতের নেতাসহ কর্মীদের ধরপাকড় অব্যাহত

বগুড়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল বাছেদ বলেন, আমি বিএনপির রাজনৈতিক মামলা পরিচালনা করে থাকি। গত কয়েক দিনে বগুড়ার বিভিন্ন থানার পুলিশ ১১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে বিএনপির নেতা-কর্মী রয়েছে ৭২ জন, জামায়াতের ৩০ জন এবং বাকি ১২ জন সাধারণ মানুষ - যারা কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। যারা ধরা পড়ছেন, তাদের অধিকাংশই শুধুমাত্র বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি করার কারণে গ্রেফতার হয়েছেন বলে দাবি করছে পরিবার। 

আর পুলিশ বলছে, যাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, তাদের নামে মামলা না থাকলেও তদন্তে নাম পাওয়া গেছে।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) স্নিগ্ধ আকতার বলেন, এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেফতার করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। এজাহারের বাইরে যাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে মামলা তদন্তে তাদের নাম পাওয়া গেছে। তবে সাধারণ মানুষদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে না।

প্রতিনিধি/ এমইউ