images

সারাদেশ

শিশুর গলায় চাপাতি ধরে মাকে মারধর, স্বর্ণালংকার লুট

জেলা প্রতিনিধি

১৯ মে ২০২৪, ০৬:২৪ পিএম

লক্ষ্মীপুরে ঘুমন্ত ছোট্ট শিশু ইউসুফের গলায় চাপাতি ধরে তার মা নূর নাহারকে হত্যার উদ্দেশ্য শ্বাসরোধ ও  মারধর করা হয়। এ সময় ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার লুট করে হামলাকারীরা। এ বিষয়ে প্রতিবেশী ইদ্রিস, মনির ও তাদের ভাই কবিরসহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

রোববার (১৯ মে) দুপুর ৩টার দিকে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন (নারী) নূর নাহার।

আরও পড়ুন: পলাশবাড়ীতে ভাতিজিকে গলা কেটে হত্যা করলেন চাচা

এর-আগে সকালে সদর মডেল থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) আনবিক চাকমা সঙ্গী ফোর্স নিয়ে উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের উত্তর চরভূতা গ্রামের হামিদ আলী পুন্ডিত বাড়ির ওই নারীর বসতঘর পরিদর্শন করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে চরভূতা গ্রামের হামিদ আলী পুন্ডিত বাড়ির আব্দুর রশিদের সঙ্গে একই বাড়ির আব্দুল আলীর তিন ছেলে ইদ্রিস, মনির ও কবিরদের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে একাধিকবার হামলা, মামলা ও সালিশ বৈঠক হয়েছে। এরপরও কিছুইতে সমাধানে যাচ্ছে না অভিযুক্তরা। গত কয়েক দিন ধরে আব্দুর রশিদের স্ত্রী নূর নাহারের সঙ্গে তাদের ঝগড়াঝাটি হচ্ছিল। এরপর শনিবার বিকেলে অভিযুক্তরা নূর নাহারকে হুমকি দিয়েছে যে তোকে মেরে ফেললে কি হবে? 

পরে রাতে নূর নাহার তার ৪ মেয়ে ও কোলের ৬ মাসের ছেলে ইউসুফকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লে সিঁধকেটে অভিযুক্তরা তার ঘরে  প্রবেশ করে। তখন তারা শিশুর গলায় চাপাতি ধরে নূর নাহারকে মারধর করে। বিষয়টি অন্য কক্ষ থেকে টের পায় কলেজ পড়ুয়া বড়-মেয়ে সামিয়া আফরিন। হামলাকারীদের হাত থেকে মাকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার হয় সামিয়াও। তবে সে (ছাত্রী) তিন হামলাকারীকে চিনে ফেল। ততক্ষণে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুটে নেয় অভিযুক্তরা। পরে স্থানীয়রা নূর নাহারকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

আরও পড়ুন: পানির পাম্পের সুইচ দিতে গিয়ে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু

এ ঘটনার বিস্তারিত জানতে সরেজমিন চরভূতা গ্রামে গেলে অভিযুক্ত কাউকে বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি। তবে অভিযুক্ত ইদ্রিসের স্ত্রী লিপি আক্তার বলেন, যখন নূর নাহারদের ঘরে চিৎকার-চেঁচামেচি হয়েছে, তখন আমার স্বামী ইদ্রিস আমার সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল। ওরা এখন বিনা কারণে বদনাম করছে।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার ঢাকা মেইলকে বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

প্রতিনিধি/ এমইউ