জেলা প্রতিনিধি
০৬ মে ২০২৪, ০৬:০৫ পিএম
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে ফের তীব্র গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। এর ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
সোমবার (৬ মে) সকাল থেকে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পালিয়ে এলো মিয়ানমারের আরও ৮৮ বিজিপি সদস্য
কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভা সীমান্তের নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারের রাখাইনে সশস্ত্র বাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে সংঘর্ষ চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে মিয়ানমারের রাখাইনে অনেক সেনা ক্যাম্প দখলে নিয়েছে বিদ্রোহী বাহিনী।
এখন সোমবার সকাল থেকে মিয়ানমারের ওপার থেকে থেমে থেমে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে। তীব্র গোলাগুলির বিকট শব্দে টেকনাফের পৌরসভা ও পাশ্ববর্তী ইউনিয়নের বাড়ি-ঘর কাঁপছে, এতে আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয় বাসিন্দা ও শিশুদের মাঝে।
টেকনাফ পৌরসভার জালিয়া পাড়া এলাকার সীমান্তের বাসিন্দা আলমগীর বলেন, মিয়ানমারে মর্টার শেলের বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির বিকট শব্দে কাপছে পৌরশহর এলাকা। আমরা খুবই আতঙ্কে রয়েছি। বিশেষ করে শিশুরা ভয়ে ঘর থেকে বের হতে চায় না। বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতেও এখন ভয় কাজ করছে।
টেকনাফ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড নাইট্যং পাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ নুর বলেন, সকাল থেকে গোলাগুলি ও মর্টার শেলের বিস্ফোরণের কারণে আমরা যারা সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাস করছি, তারা খুবই আতঙ্কে রয়েছি। বাড়ির নারী ও শিশুরা রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পালিয়ে এলো মিয়ানমারের আরও ৪০ সীমান্তরক্ষী
হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ ও গোলাগুলির তীব্র শব্দে আতঙ্কিত অবস্থায় রয়েছেন টেকনাফ সীমান্তের লোকজন। বিদ্রোহীদের সঙ্গে মোকাবিলায় হেরে গিয়ে প্রাণ বাঁচাতে সে দেশের অনেক সেনা সদস্য পালিয়ে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষ অব্যাহত আছে। নাফ নদী ও বাংলাদেশ সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি টহল জোরদারের পাশাপাশি টেকনাফ সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
প্রতিনিধি/ এমইউ