কক্সবাজারের টেকনাফে আশ্রয় নিয়েছেন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বর্ডার গার্ড পুলিশের ( বিজিপি) আরও ৮৮ জন সদস্য।
রোববার (৫ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে নাফ নদীর বাংলাদেশ জলসীমানায় পৌঁছালে বিজিপি সদস্যদের থামায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বাহিনী। দুপুরে নাফ নদী থেকে বিজিপি সদস্যদের টেকনাফ স্থলবন্দরের কাছে টেকনাফ কোস্টগার্ড স্টেশনে আনা হয়। এরপর তাঁদের নাম-ঠিকানাসহ পরিচয় শনাক্তের কাজ শুরু হয়।
বিজ্ঞাপন
৮৮ বিজিপি সদস্যের টেকনাফে আশ্রয় নেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী। তিনি বলেন, সবাইকে বিজিবির হেফাজতে পাঠানো হচ্ছে।
এর আগে গতকাল শনিবার নাফ নদী অতিক্রম করে তিন দফায় বিজিপির ৪০ জন সদস্য টেকনাফে আশ্রয় নেন। তাঁরাও বিজিবির হেফাজতে রয়েছেন। ওই ৪০ জনকে হ্নীলা উচ্চবিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে।
সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, ৮৮ জন বিজিপি সদস্য রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের উত্তরে কাওয়ারবিল বিজিপি ১ নম্বর সেক্টরের সদস্য। গত শুক্রবার রাতে দেশটির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) সেক্টরটি দখল করে নিলে বিজিপি সদস্যরা পালিয়ে যান। তাঁদের কেউ মংডু টাউনশিপের পেছনে (পূর্ব দিকে) কালাদান পাহাড়ে আত্মগোপন করেন। কেউ নাফ নদী অতিক্রম করে টেকনাফ পালিয়ে আসছেন।
কোস্টগার্ড সূত্র জানায়, নাফ নদী অতিক্রম করে টেকনাফে অনুপ্রবেশের সময় বিজিপির ৮৮ জন সদস্যকে আটক করে কোস্টগার্ডের টহল দল। এ সময় বিজিপি সদস্যরা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এরপর সবাইকে নিরস্ত্র করে কোস্টগার্ডের টেকনাফ স্টেশনে আনা হয়।
বিজ্ঞাপন
এ প্রসঙ্গে জানতে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইতোমধ্যে কয়েক দফায় ৬১৮ জন মিয়ানমার সেনা, বিজিবি ও ইমিগ্রেশন সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এর মধ্যে ২৮৮ জনকে গত ২৫ এপ্রিল এবং ৩৩০ জনকে ১৫ ফেব্রুয়ারি জাহাজে করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।
প্রতিনিধি/একেবি