পেলে আর নেই, তবে রয়ে গেছে তার সুদীর্ঘ সাফল্যের তালিকা। যে সাফল্যগাথা আজীবন লেখা থাকবে বিশ্ব ফুটবলের সোনালী ডায়েরিতে। মাত্র ১৫ বছর বয়সে ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোসের জার্সিতে ফুটবল মাঠে আসা পেলের। এরপর থেকেই একের পর এক সাফল্যে তাকে পরিপূর্ণ করে তোলে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার পায়ের জাদুতে মুগ্ধ হতে থাকে পুরো ফুটবল বিশ্ব। ক্লাব থেকে আন্তর্জাতিক ফুটবল, সর্বত্রই নিজ গুনে দ্যুতি ছড়িয়ে ক্যারিয়ারকে করেছিলেন সমৃদ্ধ।
তবে ফুটবলের বাইরেও নানা সময়ে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে থাকতেন ‘ফুটবল সম্রাট’ পেলে। এজন্যই মাঠের বাইরে কোনদিন ‘সাধু’ বলেও নিজেকে সম্বোধন করেনি সদ্য প্রয়াত এই কিংবদন্তি।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন- ফাইনালে মেসির হাতে ছিল নকল বিশ্বকাপ, বেরিয়ে এলো আসল রহস্য

২০২১ সালে নেটফ্লিক্স থেকে প্রকাশিত এক তথ্যচিত্রে পেলে জানিয়েছিলেন, ‘বৈবাহিক অবস্থায় একাধিক সম্পর্ক ছিল আমার। সেখানে কয়েকজন সন্তানেরও জন্ম হয়েছিল।’
এই প্রসঙ্গে পেলে আরও বলেছিলেন, ‘সন্তানদের সম্পর্কে আমি পরে জানতে পেরেছি। তবে বিষয়গুলো আমার প্রথম স্ত্রী জানত। আমি কখনো কাউকে মিথ্যা বলিনি।’
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন- টেস্ট ক্রিকেটে দেশের হয়ে ইতিহাস গড়লেন লিটন
পেলের সাতজন স্বীকৃত সন্তান ছিলেন। যাদের মধ্যে কেলি আরন্তেস নাসিমেন্তো বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভক্ত-সমর্থকদের পেলের শারীরিক অবস্থার তথ্য দিতেন।

ব্রাজিলের জার্সি গায়ে মাত্র ১৬ বছর বয়সে অভিষেক হয়েছিল পেলের। এরপর প্রায় দুই দশক ধরে তিনি মাঠ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন আপন রঙে। ক্লাব ক্যারিয়ারে বেশিরভাগ সময় কেটেছে ব্রাজিলের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব সান্তোসে এফসিতে। যে ক্লাবের হয়ে নিজের নামের পাশে যোগ করেছেন ছয়শর বেশি গোল। তাছাড়াও মাত্র ১৭ বছর বয়সে বিশ্বকাপ জিতেন এই ফুটবল সম্রাট। ১৯৫৮ বিশ্বকাপের সেমিতে হ্যাটট্রিক ও ফাইনালে জোড়া গোল করে শিরোপা উঁচু করে ধরেন পেলে।
এফএইচ

