ভারত–পাকিস্তান লড়াই মানেই বাড়তি উত্তেজনা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এ দুই দল এবার লড়াই করল এশিয়া কাপ ফাইনালে। শিরোপা নির্ধারণী এই ম্যাচে ম্যান ইন গ্রিনদের হারিয়ে নবমবারের মতো এশিয়া কাপ জিতল ভারত। এদিকে ফাইনালে হারের পর দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্সে কিছুটা খুশি হলেও অধিনায়ক সালমান আলি আগা ও পেসার হারিস রউফের একহাত নিয়েছেন সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার ও্যাসিম আকরাম।
ফাইনালে জিততে শেষ ওভারে ভারতের দরকার ছিল ১০ রান। পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান বল তুলে দেন হারিস রউফের হাতে। প্রথম চার বলে ১ ছয় আর ১ চার হজম করেন রউফ। ভারতও জতে যায় দুই বল হাতে রেখেই। ম্যাচে পাকিস্তানের সবচেয়ে খরুচে বোলার ছিলেন রউফ। ৩.৪ ওভারে তিনি ৫০ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। শেষ ওভারে ১০ রান ডিফেন্ড করতে না পারা রউফকে নিয়ে ম্যাচ শেষে ক্ষোভ জানিয়েছেন আকরাম।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন-চ্যাম্পিয়ন হয়ে কত টাকা পেল ভারত, বাংলাদেশ পাচ্ছে কত
আরও পড়ুন-ভারতের জয়ে খোঁচা মোদির, পাল্টা জবাব পাকিস্তানের
পোস্ট-ম্যাচ শোতে আকরাম স্পষ্টভাবেই হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “অধিনায়কের একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত- বিশেষ করে বোলিং পরিবর্তন নিয়ে, এ কারণেই ম্যাচ হারলাম। হারিস রউফ এক ওভারে দিলো ১৫ রান। ও আসলেই একটা ‘রান মেশিন’, বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে। আমি একা সমালোচনা করছি না, পুরো দেশই বলছে। ও লাল বলের ক্রিকেট খেলে না। দলে খেলতে না চাইলে অন্তত চার-পাঁচটা ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ খেলা উচিত ছিল।”

বিজ্ঞাপন
আকরামের সমালোচনাটা অকারণে নয়। অথচ তাকে ঘিরেই ছিল পাকিস্তানের সবচেয়ে বেশি আশা। এক্স-ফ্যাক্টর পেসার হয়েও দলের ভরসা রাখতে পারলেন না।
ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ সময়েই তাকে বোলিংয়ে এনেছিলেন অধিনায়ক আগা। ১৫তম ওভারের সময় ভারতের দরকার ছিল ৬ ওভারে ৬৪ রান। সেখানে চাপ ধরে রাখার বদলে রউফ আক্রমণাত্মক হয়ে উইকেট তুলতে চেয়েছিলেন। ফল হলো উল্টো- সেই ওভারে গেল ১৭ রান। চাপমুক্ত হয়ে যায় ভারত। এরপর ১৮তম ওভারে তুলনামূলক ভালো বল করলেও শেষ বলে ছক্কা খেয়ে বসেন তিনি। আর সেখান থেকেই ভারত ম্যাচে হাত পাকিয়ে ফেলে এবং শেষ পর্যন্ত জিতেও যায়।
আকরাম পরে আরও একটি বিষয় তুলে ধরেন। রউফ শুধু টি-টোয়েন্টিতে মনোযোগ দিচ্ছেন। টেস্ট থেকে সরে গিয়ে সারা বছর বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলছেন। এই সিদ্ধান্তকেই সবচেয়ে বড় সমালোচনার জায়গা মনে করেন আকরাম। তার মতে, লাল বলের ক্রিকেটে না খেলার কারণে চাপ সামলানোর মানসিকতা তৈরি হয়নি রউফের মধ্যে।
কিংবদন্তি এই ক্রিকেটার এতেই থামেননি। আবারও একই প্রসঙ্গে ফেরার পর তিনি বলেন, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের উচিত খেলোয়াড়দের চুক্তিতে শর্ত যোগ করা, টি-টোয়েন্টি দলে খেলতে চাইলে বাধ্যতামূলকভাবে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট খেলতে হবে। নাহলে এমন ব্যর্থতা বারবারই সামনে আসবে।

