ভারতের বিপক্ষে পরপর দুই ম্যাচ হেরেছে পাকিস্তান। এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বের পর সুপার ফোরের ম্যাচেও হেরেছেন সালমান আঘারা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর বিপক্ষে টানা দুই হারের পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহসিন নাকভি ও সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক অধিনায়ক ইমরান খান। জেলে থাকা অবস্থাতেই এশিয়া কাপ– ২০২৫ এ পাকিস্তানের লজ্জার পরাজয়ের পর এমন কটাক্ষ করেন তিনি।
ইমরানের বোন আলিমা খান জানিয়েছেন, ভাইয়ের মতে ভারতের বিপক্ষে জেতার একমাত্র উপায় হলো “মুনির আর নাকভিকে ওপেনিং ব্যাটার বানানো।” পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী এই কিংবদন্তি এমন কৌতুক করেই বোঝালেন বর্তমান অবস্থার হতাশা।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন-একক ক্ষমতার নাটক: বিসিবি নির্বাচন ও অদৃশ্য হাতের খেলা
আরও পড়ুন- এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলতে বাংলাদেশের সামনে যে সহজ সমীকরণ
আরও পড়ুন- পাকিস্তানে আটকে গেল বাংলাদেশের ফাইনাল স্বপ্ন
তাতেই থেমে থাকেননি ইমরান। তিনি আরও বলেন, ম্যাচের অন-ফিল্ড আম্পায়ার হওয়া উচিত সাবেক প্রধান বিচারপতি কাজী ফায়েজ ঈসা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজা। আর থার্ড আম্পায়ারের আসনে বসানো হোক ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সরফরাজ ডোগরকে।
বিজ্ঞাপন

ইমরানের এমন ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য আসে ঠিক সেই সময়, যখন পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম স্বীকার করেছেন যে গত চার-পাঁচ বছরে সব দিকেই ভারত পাকিস্তানের চেয়ে অনেক এগিয়ে গেছে। তার ভাষায়, প্রতিভা, দক্ষতা আর ফিটনেস- সব দিক থেকেই দুই দলের ফারাক অনেকটা বেড়ে গেছে।
ম্যাচ-পরবর্তী অনুষ্ঠানে আকরাম বলেন, “পাকিস্তানের খেলা দেখা এখন কষ্টের। আমি বুঝি, খেলায় জয়-পরাজয় থাকবে। কিন্তু গত চার-পাঁচ বছর ধরে ভারত প্রতিটি বিভাগে পাকিস্তানকে ছাপিয়ে গেছে। এটা দেখা সত্যিই কষ্টকর।”

তিনি আরও যোগ করেন, “এক-দুটি ক্যাচ হাতছাড়া হতেই পারে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু প্রথম ১০ ওভারে ৯১ রান করার পরও যদি ২০০ পর্যন্ত না পৌঁছানো যায়, তবে বলার কিছুই থাকে না।” ভারতের কাছে ২১ সেপ্টেম্বরের বড় ব্যবধানে হারের পর পাকিস্তানি ক্রিকেট নিয়ে তুমুল সমালোচনার মাঝেই এসেছে ইমরান খানের এই কটাক্ষ।

