এই চার দল একটি একক গ্রুপে খেলবে, যেখানে প্রত্যেক দল অন্য তিনটি দলের সঙ্গে একবার করে মোকাবিলা করবে। মোট ছয়টি ম্যাচ হবে এই পর্বে, যা ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। সব ম্যাচ দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
এই রাউন্ড-রবিন ফরম্যাটের সুবিধা হলো, প্রত্যেক দলের জন্য তিনটি করে ম্যাচের সুযোগ থাকে। এতে কোনো দল একটা খারাপ ম্যাচের জন্য বাদ পড়বে না, এবং লড়াই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চলতে পারে। পয়েন্ট সিস্টেমটি জয়ের জন্য ২ পয়েন্ট, বর্ষণের কারণে ম্যাচ না হলে (নো রেজাল্ট) ১ পয়েন্ট করে প্রত্যেক দলকে, হারের জন্য ০ পয়েন্ট।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন-যে সমীকরণ মিললেই এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলে বাংলাদেশ!
আরও পড়ুন- সুপার ফোরে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কট করবে পাকিস্তান
যদি দুই বা তার বেশি দলের পয়েন্ট সমান হয়, তাহলে নেট রান রেট (এনআরআর) দিয়ে র্যাঙ্কিং নির্ধারিত হবে। এনআরআর হিসাব করা হয় মোট রান রেট (টোটাল রান/ওভার) থেকে মোট অপোনেন্ট রান রেট (অপোনেন্ট রান/ওভার) বিয়োগ করে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ একটা বড় মার্জিনে জয় বা হার এনআরআর-এ প্রভাব ফেলে এবং ফাইনালের পথ সহজ করে।
সুপার ফোর-এর শেষে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষস্থানীয় দুই দল সরাসরি ফাইনালে উঠবে। কোনো সেমিফাইনাল ম্যাচ নেই। ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে, যেখানে দুই দলের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন নির্ধারিত হবে। এই ফরম্যাটটি ২০২৩ সালের এশিয়া কাপ থেকে চালু হয়েছে এবং এটি দলগুলোকে আরও আক্রমণাত্মক খেলার সুযোগ দেয়।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন- সূর্যকুমারকে ‘শূকর’ বললেন পাকিস্তানি কিংবদন্তি
আরও পড়ুন-ভিডিও তোলা নিয়ে বিপাকে পাকিস্তান, হতে পারে শাস্তিও
উদাহরণস্বরূপ, যদি ভারত এবং শ্রীলঙ্কা শীর্ষ দুই স্থানে থাকে, তাহলে তারা ফাইনালে মোকাবিলা করবে। কিন্তু পাকিস্তান বা বাংলাদেশ যদি অবাক করে উঠে, তাহলে ফাইনালের সমীকরণ বদলে যাবে। এনআরআর-এর ভূমিকা এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ পয়েন্ট সমান হলে এটি টাই-ব্রেকার হিসেবে কাজ করবে।
এই ম্যাচগুলোর পর পয়েন্ট টেবিল অনুযায়ী শীর্ষ দুই দল ফাইনালে যাবে। বর্তমানে ভারত এবং শ্রীলঙ্কা ফেভারিট, কিন্তু পাকিস্তানের মতো দল যেকোনো মুহূর্তে চমক দেখাতে পারে। শুরুতেই লঙ্কানদের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত এক জয়ের মাধ্যমে নিজের শক্তি প্রমাণ করেছে বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশের জন্য শুরুটা দারুণ হয়েছে, এবার অপেক্ষা ফাইনালে উঠে যাওয়ার জন্য দলের খেলায়।

