বাংলাদেশ বনাম সিঙ্গাপুরের মধ্যকার পরম আরাধ্য ফুটবল ম্যাচের উত্তেজনা যেন আজ ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামকে নতুন রূপে সাজিয়েছে। সন্ধ্যা ৭টায় ম্যাচ শুরুর কথা থাকলেও দুপুর গড়াতেই স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় জনস্রোতের মিলনমেলায় পরিণত হয়। ফুটবলপ্রেমী ভক্তদের উচ্ছ্বাসে মুখরিত পরিবেশে এক অভূতপূর্ব উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে।
কিন্তু প্রকৃতি যেন এই উত্তেজনায় নিজের রং মিশিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর। দুপুরের তপ্ত রোদে স্টেডিয়ামের আশপাশের পরিবেশ যখন সিদ্ধ হচ্ছিল, বিকেল ৪টার দিকে আবহাওয়া হঠাৎ বদলে যায়। আকাশের মুখ ভার করে নেমে আসে ঝমঝম বৃষ্টি। জাতীয় স্টেডিয়াম, খেলার মাঠ এবং উপচে পড়া গ্যালারির দর্শকেরা বৃষ্টিতে স্নাত হতে থাকেন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন- সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে যে একাদশ নিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
তবে এই বৃষ্টি দর্শকদের উৎসাহে কোনো ভাটা পড়েনি। বরং বৃষ্টির মধ্যেই তাদের উল্লাস যেন আরও বেড়ে যায়। ম্যাচ শুরুর তিন ঘণ্টা আগেই জাতীয় স্টেডিয়ামের উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব গ্যালারি কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। দুপুর ২টায় গেট খোলার কথা থাকলেও তা সময়মতো খোলেনি, ফলে দর্শকদের ভিড়ে স্টেডিয়ামের বাইরের এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
গেটে প্রবেশের সময় নির্ধারিত থাকলেও দুপুর ২টার পর ধীরে ধীরে গেট খোলা হয়। নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার স্বার্থে সন্ধ্যা ৫টার পর আর কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এদিকে এই ম্যাচকে নিয়ে তুমুল উত্তেজনা চলছে বাংলাদেশি ফুটবল প্রেমীদের মধ্যে। এরই মধ্যে স্টেডিয়ামে পৌছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেখানকার প্ল্যাকার্ড হাতে নানা লেখা ছবি তুলে ধরেছেন সমর্থকরা। ফুটিয়ে তুলেছেন নিজেদের ভালোবাসা ও প্রত্যাশা। ‘হামজা-শমিত-ফাহমিদুলের ঠিকানা; পদ্মা মেঘনা যমুনা।’ ‘কোটি মানুষের প্রাণের সুর; বাংলার ফুটবল ফিরে আসুক।’
আরও পড়ুন-পর্তুগালের কাছে হেরে বিশ্বকাপ নিয়ে যে লক্ষ্যের কথা জানালেন স্পেন কোচ
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) অনলাইনে ছেড়েছিল ১৮,৩০০ টিকিট। টিকিট বিক্রির শুরুর মুহূর্তেই সবগুলো টিকিট শেষ হয়ে যায়। শুরুতে কিছুটা জটিলতা থাকলেও পরে সবকিছু স্বাভাবিক হয়। এছাড়া যারা মাঠে খেলা দেখতে পারবেন না, তাদের জন্য বড় পর্দায় খেলা দেখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ঢাকার রবীন্দ্র সরোবর, চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়াম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহে।
ঢাকার রূপনগর-পল্লবী এলাকার ১২টি স্থানে বড় পর্দার ব্যবস্থা করেছেন সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। এর মধ্যে রয়েছে ঘরোয়া মোড়, দোরেন মোড়, শহীদ আসিফ চত্বর, মুসলিম বাজার ঈদগাহ মাঠ ও শহীদ জিয়া মহিলা কলেজ মোড়সহ আরও কিছু জায়গা।