ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রধান কোচ রুবেন আমোরিম ঠিক করেছেন, প্রিমিয়ার লিগের শেষ ম্যাচের পর ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে সমর্থকদের কাছে মাঠেই ক্ষমা চাইবেন তিনি। রবিবার অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ইউনাইটেডের এই বাজে মৌসুম শেষ হবে।
এই মৌসুমটা ইউনাইটেডের জন্য বলতে গেলে দুঃস্বপ্নের মতো। টটেনহ্যামের কাছে ইউরোপা লিগের ফাইনালে হেরে তাদের চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলার স্বপ্ন উড়ে গেছে। শুধু তাই নয়, প্রিমিয়ার লিগের এই মৌসুমটাও ইউনাইটেডের জন্য ছিল গত ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বাজে যা শেষ পর্যন্ত তাদের ইউরোপীয় প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে ফেলেছে। ১৯৯০ সালের পর এ নিয়ে মাত্র দ্বিতীয়বার তারা কোনো ইউরোপীয় আসরে খেলবে না।
বিজ্ঞাপন
তবুও, সমর্থকদের জন্য মাঠের ধারে ধন্যবাদ প্রদর্শন (যা ম্যাচ শেষে ‘ল্যাপ অব অ্যাপ্রিসিয়েশন’ নামে পরিচিত) বাতিল করা হবে না বলেই জানিয়েছেন আমোরিম। তিনি মনে করেন, মাঠে এসে সমর্থন দেওয়া দর্শকদের পাশে দাঁড়ানোটা খুব জরুরি।
৪০ বছর বয়সি এই পর্তুগিজ কোচ বলেন, “আমি সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাইব, এটা একদম স্পষ্ট। বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়ার সময় আমার হাতে নেই। আমি শুধু সৎভাবে বলব, যা মনে আসবে, যা হৃদয়ে থাকবে।”
আমোরিমের জন্য অবশ্য এই কাজটা সহজ হবে না। ক্লাবের মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অসন্তোষ আছে, বিশেষ করে গ্লেজার পরিবারকে নিয়ে। নতুন সংখ্যালঘু মালিক জিম র্যাটক্লিফের নেওয়া কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তও বাড়িয়ে তুলেছে সমালোচনা। ম্যাচের আগেও ইউনাইটেড সমর্থকরা আরেক দফা প্রতিবাদ মিছিল করবে, ক্লাবের বর্তমান ব্যবস্থাপনায় অসন্তোষ জানাতে।
বিজ্ঞাপন
তবে ক্লাব কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, বড় একটা অংশের সমর্থকই এখনো মনে করে, আমোরিম-ই সঠিক মানুষ যিনি এই দলকে আবার ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে পারবেন। কোচ নিজেও সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়ে খুশি।
ম্যাচ শেষে খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তাদের পুরো দল একবার মাঠ ঘুরে সমর্থকদের ধন্যবাদ জানায়- এটাই ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের রীতি।
আমোরিম বলেন, “এটা ক্লাবের ঐতিহ্য, আমাদের সামনাসামনি যেতে হবে। সেটা না করলে সবচেয়ে বড় ভুল হবে। আমি জানি, ম্যাচের পর কোচকেই কথা বলতে হয় সমর্থকদের সঙ্গে। আমি সেটা করব, এটাই অন্তত করতে পারি। কী বলব, তার একটা পরিকল্পনা আছে, তবে চূড়ান্তভাবে কাল সিদ্ধান্ত নেব। যদি কোনো মৌসুমে এমন কিছু করার প্রয়োজন থাকে, তাহলে সেটা এই মৌসুমই।”
ম্যাচ শেষে হয়তো খেলার ফলের চেয়ে বড় বিষয় হয়ে দাঁড়াবে কোচের বক্তব্য। ইউনাইটেডের সমর্থকরা তাকিয়ে থাকবেন—শুধু মাঠে নয়, ক্লাবের ভবিষ্যত নিয়ে আশার আলো খুঁজতেও।

