এবারের আইপিএলে উড়ছে গুজরাট টাইটান্স। শুবমান গিলের দল শিরোপার অন্যতম দাবিদার। তবে দল ভালো খেললেও ফর্মটা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না রশিদ খানের। আফগান এই স্পিনার যে কোনো ফরম্যাটেই নিজের লেগ স্পিন, গুগলিতে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের পরীক্ষা নেন, তবে আইপিএলের চলমান আসরে তার ফর্মটা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না। ফর্মের এই খরা বজায় থাকলো পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে আজকে ম্যাচেও। আর এই ম্যাচেই লজ্জার এক রেকর্ড গড়লেন রশিদ।
আজ চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ম্যাচে আগে বোলিং করেছে গুজরাট। তবে বল হাতে দিনটা একেবারেই ভালো যায়নি রশিদের। ডেভন কনওয়ে, ডেওয়াল্ড ব্রেভিসদের দাপুটে ব্যাটিংয়ে চেন্নাই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে করে ২৩০ রান। আর এই ম্যাচে ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১ উইকেট পেলেও রান দিয়েছেন ৪২। ২টি চারের সঙ্গে ৩টি ছয় হজম করেছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
আর ছয় হজম করেই লজ্জার রেকর্ড হয়েছে রশিদের। আইপিএলের এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি ছক্কা খাওয়ার রেকর্ড গড়েছেন রশিদ। চলতি মৌসুমে তাঁর বলে ৩১টা ছক্কা মেরেছেন ব্যাটারেরা। কোনও বিদেশি বোলার এক মৌসুমে এত ছক্কা খাননি। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে তিনটে ছক্কা খেয়েছেন রশিদ। শেষ তিন ওভারের প্রতিটায় একটা করে ছক্কা খেয়েছেন তিনি।
সব মিলিয়ে আর এক জন বোলারেরই এই লজ্জার কীর্তি রয়েছে। ২০২২ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলার সময় এক মৌসুমে ৩১টা ছক্কা খেয়েছিলেন সিরাজ। এ বার তিনি গুজরাতে রশিদেরই সতীর্থ।
গুজরাটের দলের প্রধান খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন রশিদ। তাঁকে ধরে রেখেছে দলটি। কিন্তু চোট সারিয়ে ফেরার পর এখনও নিজের ছন্দ ফিরে পাননি রশিদ। এ বার ১৪টা ম্যাচেই খেলেছেন তিনি। নিয়েছেন মাত্র ৯ উইকেট। তাঁর বোলিং গড় ৫১। ১৪টা ম্যাচে ৪৩৭ রান দিয়েছেন রশিদ। অর্থাৎ, ওভার প্রতি ৯.৪৭ রান দিয়েছেন তিনি। রশিদ ছন্দে থাকলে এ বার আরও কিছুটা সুবিধা হত শুবমান গিলদের।

