একদিকে বলিউডের সাবেক ডিভা, অন্যদিকে আইপিএলের গ্ল্যামার-গ্লিটজে মোড়ানো এক জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি পাঞ্জাব কিংস। সবমিলিয়ে যেন এক জমজমাট সিনেমার চিত্রনাট্য! তবে এই গল্পের দৃশ্যপট মুম্বাইয়ের কোনো স্টুডিও নয়, আদালতে। কারণ পাঞ্জাব কিংসের কো-ওনার প্রীতি জিনতা আইনি লড়াইয়ে নেমেছেন তারই সাবেক প্রেমিকের বিরুদ্ধে, এমনটাই জানায় ভারতের একাধিক গণমাধ্যমে।
কথা উঠেছে কে হবেন বোর্ড মিটিংয়ের চেয়ারপারসন, আর তা নিয়েই পাঞ্জাবের বর্তমান থেকে সাবেক মালিকদের মধ্যে গড়ে উঠেছে উত্তেজনার বাউন্সার। প্রীতির অভিযোগ, গত ১০ এপ্রিল তিনি স্পষ্টভাবে আপত্তি জানালেও, বর্মন ও ওয়াদিয়া তার তোয়াক্কা না করে বেআইনিভাবে এক্সট্রা-অর্ডিনারি জেনারেল মিটিং (ইজিএম) ডেকে ফেলেন। ওই মিটিংয়ে নির্বাচন ছাড়াই বসিয়ে দেওয়া হয় নতুন ‘অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর’ মুনীশ খন্নাকে।
বিজ্ঞাপন
যা নিয়ে প্রীতি জিনতা, আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি পাঞ্জাব কিংসের অন্যতম মালিক, সম্প্রতি কেপিএইচ ড্রিম ক্রিকেট প্রাইভেট লিমিটেডের সহ-মালিক মোহিত বর্মন ও নেস ওয়াদিয়ার (প্রীতি জিনতার সাবেক প্রেমিক ২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তাদের সম্পর্ক ছিল।) বিরুদ্ধে চণ্ডীগড় আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। প্রীতির মতে, আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেনি। বিশেষ করে, এই বৈঠকে নতুন পরিচালক নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
| আরও পড়ুন- |
| সূর্যবংশীর সঙ্গে ভাইরাল ছবি নিয়ে মুখ খুললেন প্রীতি জিনতা |
| ম্যাক্সওয়েলের খারাপ ফর্মের পেছনে দায়ী প্রীতি জিনতার অমতে বিয়ে! |
| নতুন টেস্ট অধিনায়ক পেল ভারত |
| সবচেয়ে বেশি ডাকের রেকর্ডে শীর্ষে সাকিব |
প্রীতির মতে, এটি শুধু ‘সিনেমার মত নাটকীয়’ নয়, বরং সরাসরি কোম্পানির আইন লঙ্ঘন। তিনি ও আরেক সহ-পরিচালক করণ পল তখন নেস ওয়াদিয়ার চেয়ারম্যান নিয়োগেও আপত্তি জানান। প্রস্তাব আসে যেন তাদের দুজনের একজন হন চেয়ারপারসন। কিন্তু মিটিংয়ে তৈরি হয় সমান ভোট বিভাজন, একটি স্থগিত হওয়া পরিস্থিতি। তবুও সিদ্ধান্ত চলে যায় ওয়াদিয়া-বর্মনের দিকেই।
এবার সেই লড়াই চালাচ্ছেন আইনি পথে। এই ঝামেলার শুনানি হবে ২৭ মে। দাবি, যেন আদালত অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া মুনীশ খন্নার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন এবং প্রীতির অনুপস্থিতিতে যেন আর কোনও মিটিং না হয়।
বিজ্ঞাপন
পাঞ্জাব কিংসের মালিকানা এখন যেন ‘কিং’ সাইজ বিরোধের কেন্দ্রবিন্দু। চার জন ডিরেক্টর প্রীতি জিনতা, মোহিত বর্মন, নেস ওয়াদিয়া এবং করণ পল, এদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব যদি আরও বাড়ে, তাহলে তার প্রভাব পড়তে পারে দলের মাঠের পারফরম্যান্সেও।

