রান-সেঞ্চুরির পরিসংখ্যান বললে গৌতম গম্ভীরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার হয়তো অতটা চমকপ্রদ নয়। ৫৮ টেস্টে ৯টি সেঞ্চুরিতে ৪১৫৪ রান, ১৪৭ ওয়ানডেতে ১১ সেঞ্চুরিতে ৫২৩৮ রান, আর ৩৭ টি-টোয়েন্টিতে ৯৩২ রান। এই পরিসংখ্যানের বাইরে তার সবচেয়ে বড় পরিচয়, তিনি একজন 'বড় ম্যাচের নায়ক'।
২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ দুই বিশ্বমঞ্চের ফাইনালেই ভারতের জয়ে সবচেয়ে বড় ব্যাটিং অবদান ছিল গম্ভীরের। প্রথমটিতে ৭৫ রানের ইনিংস, দ্বিতীয়টিতে ৯৭। এমনকি অধিনায়কত্বে সুযোগ সীমিত হলেও তার আক্ষেপ নেই। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে গম্ভীর বললেন, 'আমার বাড়িতে দুটি বিশ্বকাপ মেডেল আছে, ভারতে এমন কয়জন আছে?'
বিজ্ঞাপন
২০০৮ থেকে ২০১০ এই সময়টুকুতে ছিলেন টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে, মাত্র ১০ টেস্টে করেছিলেন ৮টি সেঞ্চুরি। তবে এরপর আর শতরান আসেনি তার ব্যাট থেকে। ক্যারিয়ারের শেষ দিকে গড়ও নেমে আসে ৪১.৯৫। তবুও গম্ভীরের চোখে ‘কত রান করলাম’ নয়, বরং কবে কোথায় পারফর্ম করলাম সেটাই বড়।
অধিনায়ক হিসেবে ভারতকে পুরোপুরি নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ না পেলেও ছয়টি ওয়ানডেতে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ছিলেন গম্ভীর। অধিনায়কত্বের প্রশ্নে আক্ষেপ নেই তার। কারণ, তার মতে নেতৃত্ব নয়, বড় আসরে দলের জয়ে অবদান রাখাটাই বড় সাফল্য।
ক্যারিয়ার শেষে এখন তিনি ভারতের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কোচ হিসেবেও তিনি সফল ২০২৫ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা উঠেছে তার হাত ধরে।
বিজ্ঞাপন
গম্ভীরের নিজের কথায়, ‘১০ হাজার রান করাটা বড় কিছু হতে পারে, কিন্তু আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কে কয়টা বড় ম্যাচে রান করেছে, আর কে কয়টা ট্রফি জিতেছে।’

