রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

মন্ত্রিসভায় পাপন, মাশরাফি কি হতে পারবেন বিসিবি সভাপতি?

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৬ এএম

শেয়ার করুন:

মন্ত্রীসভায় পাপন, মাশরাফি কি হতে পারবেন বিসিবি সভাপতি?

আলোচনাটা শুরু হয়েছে গতকাল রাত থেকেই। এর কারণ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর এবার আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে চলেছেন নাজমুল হাসান পাপন। বিসিবি সভাপতি মন্ত্রী হলে ক্রিকেট বোর্ডের পরবর্তী সভাপতি কে হবেন তাই নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। আর বিসিবি সভাপতির পদে দেশের ক্রিকেট পাগল সমর্থকদের প্রথম পছন্দ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্তজা। তবে এখনই কি বিসিবি বস হতে পারবেন নড়াইল এক্সপ্রেস? 

২০১২ সালের অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। এরপর দীর্ঘ ১১ বছর ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। টানা চতুর্থ মেয়াদে তিনি এই দায়িত্বে রয়েছেন। এরই মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৬ আসন থেকে বিজয়ী হন পাপন। 


বিজ্ঞাপন


এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। ইতিমধ্যে ২৯৭ জন সংসদ সদস্য শপথ নিয়েছেন। এখন নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের পালা। এরই মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকজন নেতা ফোন পেয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীসহ এবারের মন্ত্রিসভা হচ্ছে ৩৭ সদস্যের। এর মধ্যে ২৫ জন মন্ত্রী এবং ১১ জন প্রতিমন্ত্রী। গতকাল বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাতে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের তালিকা পাঠ করে সাংবাদিকদের শোনান। শপথ নিতে ইতোমধ্যে তাদের ফোনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

মাহবুব হোসেন জানান, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের শপথ গ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। তাদের মধ্যে পরবর্তী সময়ে দফতর বণ্টন করবেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন দিয়ে তা জানিয়ে দেওয়া হবে। মন্ত্রী হওয়ার তালিকায় যে ২৫ জন আছেন তাদের মধ্যেই একজন বিসিবি সভাপতি পাপন।


বিজ্ঞাপন


এদিকে মন্ত্রীদের তালিকায় বর্তমান বিসিবি সভাপতি পাপনের নাম আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে আলোচনা। মন্ত্রীত্ব পেলে কি বোর্ড সভাপতি থাকবেন তিনি? আর যদি নাই থাকেন তাহলে পরবর্তী সভাপতি কে হবেন? মাশরাফিকে কি দেয়া হবে ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব?

তবে পাপন মন্ত্রী হলেই যে তিনি বোর্ড সভাপতি থাকতে পারবেন না বিষয়টি তেমন নয়। নির্বচানের মাধ্যমেই সভাপতি মনোনীত হয়েছেন তিনি, তাই ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই পদে বহাল থাকবেন তিনি। একই সঙ্গে দেশের ক্রীড়া আইন এবং ক্রিকেট বোর্ডেও এমন কোনো নিয়ম নেই যাতে বলা হয়েছে যে কেউ মন্ত্রী হলে বোর্ড সভাপতি থাকতে পারবেন না। এর আগেও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী বোর্ড সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম সাবেক বিসিবি সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরি।

এদিকে পাপন যদি শেষ পর্যন্ত বোর্ড সভাপতি না থাকেন তাহলে পরবর্তী সভাপতি মাশরাফি হতে পারবেন কি না তা নিয়েও ভক্তদের মাঝে আগ্রহ আছে। তবে ক্রিকেট বোর্ডের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কিছুটা হতাশই হতে হবে নড়াইল এক্সপ্রসের ভক্তদের।

বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, সভাপতি হতে হলে বেশ কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে। সভাপতি প্রার্থীকে জেলাভিত্তিক ক্লাব কিংবা আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থাগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হতে হয় যা মাশরাফির নেই। এছাড়া বিসিবির পরিচালক হিসেবেও থাকতে হয় প্রার্থীকে। মাশরাফি বর্তমানে বিসিবি পরিচালকও নন। তাই সভাপতি পদে এখনই প্রার্থী হতে পারবেন না তিনি।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর