ইফতারের আগের মুহূর্তটি অতি মূল্যবান। এটি দোয়া কবুলের সময়। রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। ন্যায়পরায়ণ শাসক, রোজাদার যখন সে ইফতার করে ও নির্যাতিত ব্যক্তির দোয়া’ (ইবনে মাজাহ: ১৭৫২)। তিনি আরও বলেছেন, ‘ইফতারের সময় রোজাদের ন্যূনতম একটি দোয়া অবশ্যই কবুল হয়।’ (ইবনে মাজাহ: ১৭৫৩)
সুতরাং ইফতারের আগে দোয়া-মোনাজাতে মশগুল থাকা উচিত। বিশেষ করে নবীজির শেখানো একটি দোয়া যেন মিস না হয়। দোয়াটি হলো— يَا وَا سِعَ الْمَغْفِرَةِ اِغْفِرْلِىْ উচ্চারণ: ‘ইয়া ওয়াসিয়াল মাগফিরাতি, ইগফিরলী’ অর্থ: হে মহান ক্ষমা দানকারী! আমাকে ক্ষমা করুন। (শু‘আবুল ঈমান: ৩/৪০৭)
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
ইফতারের সময় করণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ দোয়া
রাসুলুল্লাহ (স.) কী দিয়ে ইফতার করতেন?
অতঃপর ‘বিসমিল্লাহি ওয়া আলা বারাকাতিল্লাহ’ বলে ইফতার শুরু করবে এবং পর এই দোয়া দুটি পড়বে: ১. اَللّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلي رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়ালা রিজকিকা আফতারতু।’ অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমারই জন্য রোজা রেখেছি, এবং তোমারই দেয়া রিজিক দ্বারা ইফতার করলাম। (আবু দাউদ: ১/৩২২) ২. ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْـتَلَّتِ العُرُوْقُ وَثَبَتَ الاَ جْرُ اِنْ شَاءَ الله تَعَا لى উচ্চারণ: যাহাবাযযমা ওয়াবতাল্লাতিল উরুকু ওয়া সাবাতাল আজরু ইনশাআল্লাহু তায়ালা। অর্থ: পিপাসা দূরীভূত হয়েছে, ধমনীসমূহ সতেজ হয়েছে, এবং ইনশাআল্লাহ রোজার সওয়াব নিশ্চিত হয়েছে। (আবু দাউদ: ১/৩২১)
আরও পড়ুন
রোজাদারকে ইফতার করানোর ফজিলত
আকাশপথে ইফতারের সময় নির্ধারণ হয় কীভাবে?
কারো দাওয়াতে ইফতারি করলে মেজবানের উদ্দেশে এই দোয়া পড়বে—اَفْطَرَعندكم الصائمون واكل طعامكم الابرار وصلت عليكم الملئكة উচ্চারণ: ‘আফতারা ইনদাকুমুস সায়িমুন ওয়া আকালা তাআমুকুমুল আবরার ওয়া সাল্লাত আলাইকুমুল মালাইকা’। অর্থ: আল্লাহ করুন যেন রোজাদারগণ তোমাদের বাড়ীতে রোজার ইফতার করে এবং নেক লোকেরা যেন তোমাদের খানা খায় এবং ফেরেশতাগণ যেন তোমাদের উপর রহমতের দোয়া করে। (আসসুনানুল কুবরা, নাসায়ি: ৬:৮১)
বিজ্ঞাপন
আল্লাহ তাআলা রোজাদার মুসলমানকে ইফতারের মুবারক সময়ে করণীয় আমল যথাযথ আদায় করার তাওফিক দিন। আমিন।

