সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ঢাকা

রোজাদারকে ইফতার করানোর ফজিলত

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২২, ০৫:৫৭ পিএম

শেয়ার করুন:

রোজাদারকে ইফতার করানোর ফজিলত

পবিত্র রমজানে আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক নেক কাজের প্রতিদান অনেকগুণ বাড়িয়ে দেন। অপর ভাইকে ইফতার করানো একটি বিশেষ নেক আমল। হাদিসের ভাষ্যমতে, যে আমলে রোজার সওয়াব অর্জিত হয়। জায়েদ ইবনে খালেদ আল-জুহানি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন—

‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে; রোজাদারের সওয়াব থেকে একটুও কমানো হবে না।’ (তিরমিজি: ৮০৭; ইবনে মাজাহ: ১৭৪৬; ইবনে হিব্বান: ৮/২১৬; সহিহ আল-জামে: ৬৪১৫)

‘কাউকে ইফতার করানোর উদ্দেশ্য হতে হবে, পেট ভরে তৃপ্ত করানো’ (শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া, আল ইখতিয়ারাত: পৃষ্ঠা-১৯)

সলফে সালেহিন খাবার খাওয়ানোর ক্ষেত্রে অগ্রগামী ছিলেন এবং তাঁরা এটিকে মহান ইবাদত মনে করতেন। অনেকে নিজের ইফতার অন্যকে খাওয়াতেন। এদের মধ্যে রয়েছেন- ইবনে উমর, দাউদ আল-তাঈ, মালিক বিন দিনার, আহমদ ইবনে হাম্বল। 

ইবনে উমর এতিম ও মিসকিনদের সঙ্গে না নিয়ে ইফতার করতেন না। সলফে সালেহিনদের অনেকে নিজের ইফতার সঙ্গী-সাথিদের খাওয়াতেন এবং নিজে তাদের সেবা ও মেহমানদারি করতেন। এদের মধ্যে ইবনুল মুবারক (রহ.) অন্যতম।

আবু সাওয়ার আল-আদাওয়ি বলেন, বনি আদি গোত্রের লোকেরা এই মসজিদে নামাজ পড়ত। তাদের কেউ কখনো একাকি ইফতার করেনি। যদি ইফতার করার জন্য কাউকে পাওয়া যেত, তাকে নিয়ে ইফতার করত। আর যদি কাউকে না পেত, তাহলে নিজের খাবার মসজিদে এনে মানুষের সঙ্গে খেত এবং মানুষকেও খেতে দিত। (আব্দুল্লাহ আস-সালেহ-১৫পৃ.)


বিজ্ঞাপন


সম্মিলিত আমল জান্নাতের পথ সুগম করে
ইফতারে দাওয়াত ও আতিথেয়তায় হৃদ্যতা ও ভালোবাসা বাড়ে। একইসঙ্গে উত্তম লোকের সাহচর্য অর্জিত হয়। আর মুমিনদের মধ্যে হৃদ্যতা ও ভালোবাসা জান্নাতে প্রবেশের কারণ। নবী (স.) বলেছেন—

‘তোমরা ঈমান আনা ছাড়া জান্নাত প্রবেশ করতে পারবে না। আর পারস্পারিক ভালোবাসা ছাড়া তোমাদের ঈমান হবে না।’ (সহিহ মুসলিম: ৫৪)

যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিঃস্বার্থভাবে ক্ষুধার্ত মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করে, মহান আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন এভাবে—

‘তারা বলে, ‘আমরা তো আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তোমাদের খাদ্য দান করি। আমরা তোমাদের থেকে কোনো প্রতিদান চাই না এবং কোনো শোকরও না। আমরা আমাদের রবের পক্ষ থেকে এক ভয়ঙ্কর ভীতিপ্রদ দিবসের ভয় করি। সুতরাং সেই দিবসের অকল্যাণ থেকে আল্লাহ তাদের রক্ষা করলেন এবং তাদের প্রদান করলেন উজ্জ্বলতা ও উৎফুল্লতা।’ (সুরা দাহর: ৮-১১)

আল্লাহ তাআলা রোজাদারদের একে অপরকে ইফতার করানোর মাধ্যমে বিপুল নেকি অর্জনের তাওফিক দান করুন। আমিন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর