সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০২৫, ঢাকা

জুমার দিনে মৃত্যুবরণকারীর মর্যাদা

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০৮:০৬ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

জুমার দিনে মৃত্যু সৌভাগ্যবান মুমিনের আলামত। এই দিনে মৃত্যুবরণকারীকে কবরের ফেতনা ও আজাব থেকে বাঁচিয়ে রাখার ব্যাপারে হাদিস রয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল (স.) বলেছেন, ‘যে মুসলমান জুমার দিনে কিংবা জুমার রাতে মৃত্যুবরণ করবে, নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তাকে কবরের ফেতনা থেকে বাঁচিয়ে রাখবেন। (তিরমিজি: ১০৯৫; মেশকাত: ১৩৬৭; মুসনাদে আহমদ: ১১/১৪৭)

এ প্রসঙ্গে ইমাম সুয়ুতি বলেন, ‘কেননা জুমার দিন জাহান্নাম উত্তপ্ত করা হয় না। এর দরজা বন্ধ থাকে। জাহান্নামের দারোগার এদিন অন্য দিনের মতো দায়িত্ব থাকে না। এদিন আল্লাহ যদি কোনো বান্দার মৃত্যু ঘটান তাহলে ওই বান্দা সে সুযোগ লাভে ধন্য হয়।’ (মিরআত: ৪/৪৪১ পৃ)

আরও পড়ুন: ‘ভালো মৃত্যু’র নিদর্শনগুলো জেনে নিন

হাদিসের আলোকে বুঝা যায়, জুমার দিনে কারো মৃত্যু হলে নিঃসন্দেহে তা একটি ভালো বা শুভ সংকেত। এর ফলে আখেরাতের প্রতিটি ধাপ পার হওয়া সহজ হবে আশা করা যায়। কেননা কবর হচ্ছে আখেরাতের প্রথম ধাপ। এই ধাপে উত্তীর্ণ হলে পরের ধাপগুলোও সহজ হয়। 

উসমান ইবনে আওফান (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (স.) বলেন, ‘কবর হলো আখেরাতের ঘাঁটিগুলোর মধ্যে প্রথম ঘাঁটি। এই ঘাঁটিতে যদি কারও জন্য প্রশ্নোত্তর সহজ করে দেওয়া হয়, এই ঘাঁটিতে যদি কেউ কোনো বড় বিপদে না পড়েন অর্থাৎ সহজেই পার পেয়ে যান— তাহলে পরবর্তী ধাপগুলোও তিনি সহজেই উত্তীর্ণ হতে পারবেন, সেই আশা করা যায়। (শায়খ নাসিরুদ্দিন আলবানি (রহ.); আহকামুল জানাইজ, পৃষ্ঠা-৫০; বঙ্গানুবাদ মেশকাত: ১২৫)

‘আর যদি কবরের ঘাটি কারও জন্য কঠিন হয়ে যায়, তাহলে পরবর্তী যে ধাপগুলো রয়েছে সেগুলো আরও কঠিন হবে।’ ( তিরমিজি: ২৩০৮)


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: কবর আজাবের কারণ ও মুক্তির উপায়

তবে, জুমাবারে কারো মৃত্যু হলে কেয়ামত পর্যন্ত তার কবরের আজাব মাফ—এ কথা বলার সুযোগ নেই। এ সম্পর্কে মোল্লা আলি ক্বারি (রহ.) বলেন, জুমার দিনে বা রাতে যে মারা যাবে, তার থেকে কবরের আজাব উঠিয়ে নেওয়া হবে—এটি মোটামুটি প্রমাণিত। তবে কেয়ামত পর্যন্ত আজাব আর ফিরে আসবে না—এ কথার কোনো ভিত্তি আমার জানা নেই। (মিনাহুর রাওদিল আযহার ফি শরহি ফিকহিল আকবর, পৃষ্ঠা-২৯৫-২৯৬)

এরপরও মৃত ব্যক্তির ব্যাপারে সুধারণা রাখা ভালো। যেমন মৃত ভাইয়ের ব্যাপারে এই ধারণা রাখা উচিত যে ইনশাআল্লাহ প্রথম ধাপে তাকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং এর মাধ্যমে পরবর্তী প্রত্যেক ধাপও সহজ করে দেওয়া হবে এবং সর্বোপরি তাকে আল্লাহ তাআলা জান্নাতে দাখিল করাবেন। 

আল্লাহ আমাদের সবাইকে ভালো মৃত্যু দান করুন। ভালো মৃত্যু, কবরের আজাব মাফ ও আখেরাতে শান্তিতে থাকার জন্য যেমন আমল করা দরকার, তেমন আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর