রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

মুসা (আ.)-এর থাপ্পড়ে আজরাইলের চোখ বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনা

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৩:১৪ পিএম

শেয়ার করুন:

মুসা (আ.)-এর থাপ্পড়ে আজরাইলের চোখ বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনা

পবিত্র কোরআনে বহুল আলোচিত নবী-রাসুলদের মধ্যে মুসা (আ.) অন্যতম। মহান আল্লাহর প্রিয় এই নবীর আগমন ঠেকাতে দাম্ভিক ফেরাউন কত হাজার শিশুকে হত্যা করেছিল। কিন্তু মহান আল্লাহর কুদরতে তিনি মিসরেই জন্মগ্রহণ করেন এবং লালিত-পালিত হন তাঁর চিরশত্রু মিসর সম্রাট ফেরাউনের ঘরে।

মুসা (আ.) হলেন ইবরাহিম (আ.)-এর অষ্টম অধস্তন পুরুষ। মুসা (আ.)-এর বাবার নাম ছিল ‘ইমরান’ ও মায়ের নাম ছিল ‘ইউহানিব’। তবে মায়ের নামের ব্যাপারে মতভেদ আছে। (মাআরেফুল কোরআন)


বিজ্ঞাপন


কোরআনুল কারিমে হজরত মুসা (আ.) সম্পর্কে অনেক আলোচনা রয়েছে। প্রচুর উপমা ও বিভিন্ন আঙ্গিকে তার ঘটনা বারবার উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: পবিত্র কোরআনে কার নাম কতবার এসেছে

মুসা (আ.)-এর মৃত্যুর ঘটনাটি আশ্চর্যজনক। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, মৃত্যুর ফেরেশতাকে মুসা (আ.)-এর কাছে পাঠানো হলে মুসা (আ.) তাঁকে চপেটাঘাত করেন (যার ফলে তাঁর চোখ বেরিয়ে যায়)। তখন মৃত্যুর ফেরেশতা তাঁর প্রতিপালকের (আল্লাহর) কাছে ফিরে গিয়ে বলেন, আমাকে এমন এক বান্দার কাছে পাঠিয়েছেন যে মরতে চায় না। তখন আল্লাহ তাঁর চোখ ফিরিয়ে দিয়ে হুকুম করেন, আবার গিয়ে তাঁকে বলো, তিনি একটি ষাঁড়ের পিঠে তাঁর হাত রাখবেন, তখন তাঁর হাত যতটুকু আবৃত করবে, তার সম্পূর্ণ অংশের প্রতিটি পশমের বিনিময়ে তাঁকে এক বছর করে আয়ু দান করা হবে। মুসা (আ.) এ শুনে বলেন, হে আমার রব, অতঃপর কী হবে? আল্লাহ বলেন, অতঃপর মৃত্যু। মুসা (আ.) বলেন, তা হলে এখনই (মৃত্যু) হোক। (সহিহ বুখারি: ৩৪০৭; সহিহ মুসলিম: ২৩৭২)

আরও পড়ুন: হজরত মুসা ও খিজির (আ.)-এর ঘটনা


বিজ্ঞাপন


উল্লেখ্য, বিখ্যাত হাদিসবেত্তাদের মতে, মালাকুল মাওত মুসা (আ.)-এর অনুমতি না নিয়েই মানুষের বেশে তাঁর ঘরে প্রবেশ করেছিলেন। এজন্য তিনি তাকে চিনতে না-পেরে চপেটাঘাত করেন। (ফাতহুল বারি: ৬/৫০৮; শরহে নববি: ১৫/১২৯)

মুসা (আ.)-এর সমাধির ব্যাপারে বুখারির বর্ণনায় আছে, তখন (মৃত্যুর আগমুহূর্তে) তিনি একটি পাথর নিক্ষেপ করলে যতদূর যায় বায়তুল মাকদিসের ততটুকু নিকটবর্তী স্থানে তাঁকে পৌঁছিয়ে দেওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে নিবেদন করেন। আল্লাহর রাসুল (স.) বলেছেন, ‘আমি সেখানে থাকলে অবশ্যই পথের পাশে লাল বালুর টিলার কাছে তাঁর কবর তোমাদের দেখিয়ে দিতাম’ (বুখারি: ১৩৩৯)। এই হাদিস থেকে প্রমাণিত হয় যে মুসা (আ.)-এর সমাধি বা মাজার বাইতুল মুকাদ্দাসের উপকণ্ঠে। 

আরও পড়ুন: জাদুকরদের নিজের দলভুক্ত নয় বলে রাজনীতি করেছিল ফেরাউন

পৃথিবীতে মুসা (আ.) কত দিন হায়াত পেয়েছিলেন, তা নিয়ে মতানৈক্য আছে, কারো কারো মতে তিনি হায়াত পেয়েছিলেন আশি থেকে এক শ বছর। কিন্তু ‘আল-কামেল ফিত তারিখ’ কিতাবের ভাষ্যমতে মুসা (আ.) ১২০ বছর হায়াত পেয়েছিলেন। (আল-কামেল ফিত তারিখ: ১/১৭২)

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর