আল্লাহ তাআলা পরম ক্ষমাশীল। তাওবা করলে তিনি বান্দার সব গুনাহ ক্ষমা করে দেন। গুনাহের বোঝা অনেক বড় হলেও আল্লাহ তাআলা বান্দাদেরকে নিরাশ হতে নিষেধ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে আমার বান্দারা! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছ; আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা জুমার: ৫৩)
গুনাহ করার পর বান্দা যখন নিজের অপরাধ বুঝতে পেরে সত্যিকার তাওবা করে তখন আল্লাহ শুধু তার গুনাহই ক্ষমা করেন না; বরং গুনাহকে নেকি দ্বারা পরিবর্তন করে দেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কিন্তু যারা তাওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গুনাহগুলোকে নেকি দিয়ে পরিবর্তন করে দেবেন।’ (সুরা ফুরকান: ৭০)
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: স্বামী কতদিন স্ত্রীর কাছ থেকে দূরে থাকতে পারবে?
তাওবা করার নিয়ম
কৃত গুনাহের ওপর অনুতপ্ত হয়ে গুনাহ পুনরায় না করার দৃঢ় সংকল্প নিয়ে আল্লাহর কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করাই প্রকৃত তাওবা। এর জন্য দুই রাকাত নামাজ তাওবার নিয়তে পড়া উত্তম।
তাওবার পূর্বশর্ত
তাওবার পূর্বশর্ত চারটি। ১) কৃত গুনাহের ওপর অনুতপ্ত হওয়া ২) গুনাহ সম্পূর্ণ পরিহার করা ৩) ভবিষ্যতে না করার দৃঢ় সংকল্প করা ৪) বান্দার হক নষ্ট করে থাকলে তা আদায় করা। (তিরমিজি: ৪০২, আল মিনহাজ ফি শরহি মুসলিম: ১৭/৫৭, ফতোয়ায়ে ফকিহুল মিল্লাত: ২/২৩৯-২৪০)
শর্ত মেনে যদি কোনো ব্যক্তি আল্লাহর কাছে তাওবা করেন, তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তার তওবা কবুল করবেন এবং তাকে ভালোবাসবেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘..নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাকারীদের ভালবাসেন এবং তাদেরকেও ভালবাসেন যারা পবিত্র থাকে।’ (সুরা বাকারা: ২২২)
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: কাউকে ট্রল করার গুনাহ কেমন?
প্রিয়নবী (স.) ইরশাদ করেছেন ‘যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার (আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা) করবে, আল্লাহ তাকে প্রত্যেক বিপদ হতে মুক্তির ব্যবস্থা করবেন, সকল দুশ্চিন্তা হতে মুক্ত করবেন এবং তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দেবেন যা সে কল্পনাও করতে পারবে না।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫১৮)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সঠিক নিয়মে তাওবা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।