শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ঢাকা

৪ আমলেই নারীর জান্নাত

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৮:০০ পিএম

শেয়ার করুন:

৪ আমলেই নারীর জান্নাত

ইসলাম নারীকে শুধু সম্মানিত করেই ক্ষান্ত হয়নি, একইভাবে তাদের সরল পথে প্রবেশের রাস্তাও সুগম করেছে। একসময় মেয়েশিশুদের জীবন্ত কবর দেওয়া হতো। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যখন তাদের কন্যাসন্তানের সুসংবাদ দেওয়া হয়, মনঃকষ্টে তাদের চেহারা কালো হয়ে যায়। তাদের যে সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে তার কারণে তারা নিজ সম্প্রদায়ের লোক থেকে মুখ লুকিয়ে রাখে। তারা ভাবে এই সন্তান রাখবে, নাকি মাটিতে পুঁতে ফেলবে। সাবধান! তাদের সিদ্ধান্ত কতই না নিকৃষ্ট।’ (সুরা নাহল: ৫৮-৫৯)

কিন্তু এখন সেই সময় নেই। সেই নির্মমতাকেই সমাহিত করেছে ইসলাম। এরপরও অধিকাংশ নারী জাহান্নামে যাবে অভিশাপ ও স্বামীর অকৃতজ্ঞতা—বিষয়গুলোতে সমান্য অসচেতনতার কারণে। অথচ নারী চাইলে সহজেই জান্নাত লাভে ধন্য হতে পারে—এমন চারটি আমল প্রসঙ্গে বিশ্বনবী (স.) ইরশাদ করেছেন—


বিজ্ঞাপন


‘যে নারী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, রমজান মাসের রোজা রাখে, নিজের লজ্জাস্থান হেফাজত করে এবং স্বীয় স্বামীর আনুগত্য করে, সে নিজের ইচ্ছানুযায়ী জান্নাতের যে কোনো দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করবে।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান: ৪১৬৩; মুসনাদে আহমদ: ১৫৭৩)

স্বামীকে ভালোবাসা ও অকৃতজ্ঞ না হওয়া খুব জরুরি বিষয়। কেননা ‘আল্লাহ সেই নারীর প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেন না, যে স্বামীর কৃতজ্ঞতা আদায় করে না। অথচ সে তার প্রতি মুখাপেক্ষী।’ (সুনানে নাসায়ি: ৯০৮৭)

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘(একবার) রাসুল (স.)-কে প্রশ্ন করা হলো- কোন নারী উত্তম? তিনি বললেন, যার প্রতি দৃষ্টিপাত করলে— সে স্বামীকে সন্তুষ্ট করে। স্বামী আদেশ করলে, তার আনুগত্য করে, এবং (স্ত্রী) নিজের ব্যাপারে ও তার ধন-সম্পদের ব্যাপারে যা স্বামী অপছন্দ করে, এমন কাজের মাধ্যমে স্বামীর বিরোধিতা করে না। (নাসায়ি: ৩২৩১)

হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) বর্ণিত হাদিসে এসেছে, ‘যখন কোনো দুনিয়ার স্ত্রী তার স্বামীকে কষ্ট দেয়, তখন জন্নাতের ও স্বামীর জন্য নিরধারিত হূর বলতে থাকেন—হে নারী , তুমি স্বামীকে কষ্ট দিও না, আল্লাহ তোমাকে ধ্বংস করুন! তোমার স্বামী তো তোমার কাছে কয়দিনের মেহমান মাত্র, অচিরেই তোমাকে ছেড়ে তিনি আমাদের কাছে চলে আসবেন। (তিরমিজি: ১১৭৪)


বিজ্ঞাপন


তাকওয়া বা খোদাভীতি অর্জন করা নারী-পুরুষ সবার কর্তব্য। একমাত্র তাকওয়ার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা সম্ভব। আল্লাহর রাসুল (স.) আয়েশা (রা.)-কে বলেন, ‘হে আয়েশা, তোমার জন্য আবশ্যক হলো খোদাভীতি অর্জন করা।’ (তিরমিজি: ৯৭৮)

সুতরাং নারীদের উচিত— হাদিসে ঘোষিত নামাজ-রোজা পালন, ইজ্জত-আব্রুর হেফাজত ও স্বামীর আনুগত্য করা। আল্লাহ তাআলা নারী-পুরুষ সকলকে তার আদেশ-নিষেধের প্রতি দাসসূলভ আচরণের তাওফিক দিন। আমিন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর