ইসলামিক বর্ষপঞ্জি অনুসারে ১৪৪৭ হিজরির ১৫ রবিউল আউয়াল, রোববার (৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) সৌদি আরবের দুই পবিত্র মসজিদ তথা মসজিদুল হারাম (মক্কা) ও মসজিদে নববীতে (মদিনা) চন্দ্রগ্রহণের বিশেষ নামাজ (সালাতুল কুসুফ) আদায় করা হবে। রিয়াদ অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটির পূর্বাভাস অনুযায়ী এদিন চন্দ্রগ্রহণ ঘটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীর পরিচালনা পর্ষদ ইতিমধ্যে এই বিশেষ ইবাদতের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে এবং মুসল্লিদের এই মহান ইবাদতে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
গ্রহণ নামাজের গুরুত্ব
এই নামাজের গুরুত্ব ও পদ্ধতি সম্পর্কে মহানবী মুহাম্মদ (স.) থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘কোনো লোকের মৃত্যুর কারণে সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হয় না। তবে তা আল্লাহ তাআলার নিদর্শনগুলোর দুটি। তোমরা সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হতে দেখলে নামাজে দাঁড়িয়ে যাবে। (সহিহ বুখারি: ৯৮৪) অন্য বর্ণনায় রয়েছে, তোমরা যখন এ নিদর্শনাবলীর কোনো একটি (চন্দ্র বা সূর্যগ্রহণ) অবলোকন করবে, আল্লাহকে ভয় করবে, তাঁর জিকির করবে, তাঁর নিকট দোয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করবে। (মেশকাত: ১৪৮৪)
এই হাদিসটি চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণকে একটি মহাজাগতিক ঘটনা হিসেবে উপস্থাপন করেছে, যার মাধ্যমে আল্লাহ বান্দাকে তাঁর অসীম ক্ষমতা ও মহিমার কথা স্মরণ করিয়ে দেন। এ থেকে শিক্ষা নেওয়া হয় যে, এমন সময়ে মুমিন বান্দার কর্তব্য হলো আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা, নামাজ আদায় করা ও দোয়া করতে থাকা।
বিজ্ঞাপন
সালাতুল খুসুফের পদ্ধতি
সালাতুল খুসুফ বা চন্দ্রগ্রহণের নামাজ সুন্নত। এটি জামাতে আদায় করা যায়, আবার একাকীও পড়া যায়। নবী (স.)-এর সুন্নত অনুযায়ী, এই নামাজ দীর্ঘসূত্রতা সহকারে আদায় করা হয়, যেখানে সুরা আল-বাকারার মতো লম্বা সুরা বা তার সমপরিমাণ দীর্ঘ কিরাত পাঠ করা হয়, রুকু ও সেজদা দীর্ঘ করা হয় এবং গ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত দোয়া ও ইস্তেগফার করতে থাকেন মুসল্লিরা।
দুই পবিত্র মসজিদের ইমামগণ যথারীতি মুসল্লিদেরকে নিয়ে জামাতের সঙ্গে এই নামাজ আদায় করাবেন বলে আশা করা হচ্ছে, যা বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের জন্য একটি অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
মুসল্লিদের প্রতি অনুরোধ
প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল মুসল্লিকে সময়মত মসজিদে উপস্থিত হয়ে এই বিশেষ নামাজে অংশগ্রহণ এবং মহান আল্লাহর কাছে দোয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সূত্র: ইনসাইড দ্য হারামাইন

