দান-সদকা: দুনিয়াতেই ৯ প্রতিদানের নিশ্চয়তা 

৩. সম্পদ পবিত্র হয়

ব্যবসা বা উপার্জনের সময় যেসব অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়, সদকা সেগুলো মোচন করে। রাসুল (স.) বলেন- ‘হে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়! ... তোমরা ব্যবসার পাশাপাশি সদকা করো, যাতে তা ত্রুটিমুক্ত হয়।’ (আবু দাউদ: ৩৩২৬)

৪. ভয়ভীতি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নিরাপত্তা

সূর্যগ্রহণের সময় রাসুল (স.) বলেন- ‘সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শন… তা দেখলে নামাজ পড়ো, দোয়া করো ও সদকা দাও।’ (বুখারি: ১০৪৪)

৫. ফেরেশতাদের দোয়া লাভ

প্রতিদিন সকালে ফেরেশতারা দানকারী ও কৃপণের জন্য আলাদা দোয়া করেন। রাসুল (স.) বলেছেন, প্রত্যেক বান্দা যখন সকালে ওঠে, দুজন ফেরেশতা অবতীর্ণ হন। তাঁদের একজন বলেন, হে আল্লাহ! খরচকারীর ধন আরও বাড়িয়ে দিন এবং দ্বিতীয়জন বলেন, হে আল্লাহ! কৃপণকে ধ্বংস করে দিন। (মুসলিম: ২২২৬)

আরও পড়ুন: যে দুই আমলে ৭০ হাজার ফেরেশতার দোয়া মেলে

৬. অপমৃত্যু থেকে রক্ষা

রাসুল (স.) বলেন- ‘সদকা অপমৃত্যু রোধ করে।’ (তিরমিজি: ৬৬৪) অপমৃত্যু বলতে ওইসব মৃত্যুকে বোঝানো হয়েছে যা থেকে স্বয়ং নবীজি (সা.) পানাহ চেয়েছেন। যেমন পানিতে পড়ে, আগুনে পুড়ে, ওপর থেকে পতিত হয়ে, যুদ্ধ থেকে পলায়নরত অবস্থায় এবং এ ধরনের যেকোনো কারণে মৃত্যুবরণ করা। হঠাৎ মৃত্যুকেও কেউ কেউ অপমৃত্যু বলেছেন।’ (মেরকাত: ৪/১৩৪১)

৭. গুনাহ মাফ ও আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত হয়

রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন- ‘সদকা আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে।’ (ইবনে হিব্বান: ৩৩০৯)

৮. রোগ-ব্যাধি থেকে আরোগ্য লাভ

রাসুল (স.) বলেন- ‘তোমাদের অসুস্থদের দানের মাধ্যমে চিকিৎসা করো।’ (বায়হাকি: ৬৫৯৩)

আরও পড়ুন: দান-সদকা করবেন যাদের

৯. হায়াত (জীবনকাল) বৃদ্ধি

রাসুল (স.) বলেন- ‘সদকা মুসলমান ব্যক্তির হায়াত বাড়িয়ে দেয়।’ (তাবারানি: ৩১) এর ব্যখ্যায় ইমাম নববী (রহ.) বলেন, অল্প জীবনে বেশি ইবাদতের বরকত দেওয়া হয়।

মোটকথা, দান-সদকা একদিকে মহান ইবাদত, অন্যদিকে দুনিয়ার জীবনে শান্তি, নিরাপত্তা, রিজিকের বরকত, স্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু লাভের এক অতুলনীয় মাধ্যম। আল্লাহ তাআলা যেন আমাদের সবাইকে নিয়মিত সদকা করার এবং এর দুনিয়া ও আখেরাতের ফজিলত লাভ করার তাওফিক দান করেন। আমিন।