সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

কেয়ামতের দিনে সুপারিশ চাই? পড়ুন এই দরুদ

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২৫, ০৬:৫৪ পিএম

শেয়ার করুন:

কেয়ামতের দিনে সুপারিশ চাই? পড়ুন এই দরুদ

কেয়ামতের ভয়াবহ ও বিভীষিকাময় দিনে মানুষ হয়ে পড়বে দিশেহারা। চারদিকে শুধুই আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তা। আল্লাহর দরবারে নিজেদের গুনাহের হিসাব দিতে হবে—এই ভাবনায় প্রতিটি হৃদয়ে ছড়িয়ে পড়বে ভয় ও সীমাহীন লজ্জা। তখন মানুষ একের পর এক নবীর কাছে যাবে সুপারিশের আশায়। কিন্তু কেউই সে ভার নিতে রাজি হবেন না—প্রত্যেকেই বলবেন, ‘আজ আমি নিজেই বিপদে’ এবং আরেক নবীর দিকে পাঠিয়ে দেবেন। সেই কঠিন মুহূর্তে একমাত্র আশ্রয় হবেন আমাদের প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ (স.)।

তিনি আল্লাহর দরবারে সেজদায় লুটিয়ে পড়ে সুপারিশের অনুমতি চাইবেন এবং তখনই আল্লাহ তাঁকে অনুমতি দেবেন। নবীজি (স.) বলেন- ‘আমিই হব সর্বপ্রথম সুপারিশকারী এবং সর্বাগ্রে আমার সুপারিশ কবুল করা হবে।’ (ইবনে মাজাহ: ৪৩০৮)


বিজ্ঞাপন


তবে তাঁর এই মহামূল্যবান শাফায়াত (সুপারিশ) লাভ করতে হলে শুধু মুসলমান পরিচয়ে বসে থাকলেই হবে না। বরং শর্ত হলো—শরিয়তের নির্দেশিত পথে চলা এবং কিছু নির্দিষ্ট আমল করা, যার মধ্যে একটি হলো নবীজির ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা।

আরও পড়ুন: কেয়ামতের দিন আল্লাহ যাদের দিকে ফিরেও তাকাবেন না

নবীজির সুপারিশের নিশ্চয়তা রয়েছে যে দরুদ পাঠে

হাদিসে এসেছে—একটি নির্দিষ্ট দরুদ পাঠ করলে কেয়ামতের দিন নবীজির সুপারিশ অবধারিত হয়ে যাবে। সেই দরুদটি হলো- 


বিজ্ঞাপন


আরবি: اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَأَنْزِلْهُ الْمَقْعَدَ الْمُقَرَّبَ عِندَكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিন ওয়াআনজিলহুল মাক্বআদাল মুক্বাররাবা ইন্দাকা ইয়াওমাল কিয়ামাহ।

অর্থ: হে আল্লাহ, আমাদের নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর আপনার রহমত বর্ষণ করুন এবং কেয়ামতের দিন তাঁকে আপনার নিকটবর্তী সম্মানজনক আসনে অধিষ্ঠিত করুন।

রুওয়াইফি ইবনে ছাবিত আলআনসারি (রা.) বর্ণনা করেন, ‘আল্লাহর রাসুল (স.) বলেন, যে ব্যক্তি এই দরুদ পাঠ করবে, আমার শাফায়াত (সুপারিশ) তার জন্য অবধারিত হয়ে যাবে।’ (আল মুজামুল কাবির, তাবরানি: ৫/৪৪৮১; মাজমাউজ জাওয়াইদ: ১০/২৫৪)

আরও পড়ুন: কেয়ামতের দিনের গরম কতটা ভয়াবহ হবে?

মুসলিম হিসেবে আমাদের করণীয় হলো- প্রতিদিন সময় করে এই দরুদটি পাঠ করা। নামাজের পর, ফাঁকা সময়ে কিংবা ঘুমানোর আগে অন্তত কয়েকবার এই দরুদ পাঠ করার অভ্যাস গড়ে তোলা। একই সঙ্গে নিজের জীবন শরিয়তের বিধান অনুযায়ী পরিচালনা করার চেষ্টা করা।

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে নবীজির (স.) ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করার তাওফিক দিন। শরিয়তের নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে পালনের শক্তি দিন। এবং সেই ভয়াবহ কেয়ামতের দিনে প্রিয়নবীর মহামূল্যবান সুপারিশ আমাদের জন্য নসিব করুন। আমিন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর