সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

জুমার দিন সকাল-সন্ধ্যা যেসব সুরা পাঠের গুরুত্ব বেশি

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০৫ পিএম

শেয়ার করুন:

জুমার দিন সকাল-সন্ধ্যা যেসব সুরা পাঠের গুরুত্ব বেশি

জুমার দিন কিছু আমলের বিশেষ ফজিলত রয়েছে। এর মধ্যে বেশকিছু সুরার কথা উঠে এসেছে হদিসের বিভিন্ন বর্ণনায়। যেমন এক হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে, তার (ঈমানের) নূর এই জুমা হতে আগামি জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। (মেশকাত: ২১৭৫)

এছাড়াও হাদিসের বর্ণনামতে, রাসুলুল্লাহ (স.) জুমার দিনের ফজরের নামাজে সুরা সিজদা ও সুরা ইনসান (দাহর) তেলাওয়াত করতেন। (সহিহ বুখারি: ১০৬৮)


বিজ্ঞাপন


জুমার নামাজে নবী (স.) সুরা আলা, সুরা জুমা, সুরা মুনাফিকুন ও সুরা গাশিয়াহ পড়তেন বলেও হাদিস রয়েছে। হজরত নুমান ইবনে বশির (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) দুই ঈদের নামাজে ও জুমার নামাজে ‘সাব্বিহিসমা রব্বিকাল আলা’ ও ‘হাল আতা-কা হাদিসুল গা-শিয়াহ’ সুরাদ্বয় পাঠ করতেন। (সহিহ মুসলিম: ১৯১৩)

আরও পড়ুন: জুমার আজানের পর যেসব কাজ করা যাবে না

কোনো কোনো বর্ণনায় এসেছে, রাসুল (স.) সুরা জুমা ও সুরা আলা তেলাওয়াত করতেন। অন্য বর্ণনামতে, জুমার নামাজে কখনো তিনি সুরা জুমার সঙ্গে সুরা মুনাফিকুনও পড়তেন। (মুসলিম: ১৯১৬)

এদিকে জুমার রাতে সুরা দুখান পাঠের বিশেষ ফজিলত বর্ণিত হয়েছে হাদিসে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার রাতে (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে) সুরা হা-মিম আদ-দুখান পাঠ করবে তাকে ক্ষমা করা হবে। (তিরমিজি: ২৮৮৯)


বিজ্ঞাপন


কোনো কোনো বর্ণনায় সুরা ইয়াসিনের কথাও উল্লেখ রয়েছে। তবে, শুধু সুরা ইয়াসিন নয়, আসলে পবিত্র কোরআনের সব সুরাই বরকতপূর্ণ, তাই জুমার দিন মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় যেকোনো সুরা তেলাওয়াত করা যাবে।

আরও পড়ুন: জুমার দিনের মাসনুন আমল ও ফজিলত

যদিও এসবের মধ্যে সুরা কাহাফ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কারণ এ সুরার ব্যাপারে নবীজির একাধিক উৎসাহব্যাঞ্জক হাদিস রয়েছে। এক বর্ণনায় এসেছে, যে ব্যক্তি জুমার রাতে সুরা কাহাফ পাঠ করবে, তার জন্য স্বীয় অবস্থানের জায়গা থেকে পবিত্র মক্কা পর্যন্ত একটি নুর হবে। (সহিহ তারগিব ওয়াত তারহিব: ৭৩৬)। আরও বর্ণিত হয়েছে, জুমার দিনে সুরা কাহাফ পড়লে কেয়ামত দিবসে তার পায়ের নিচ থেকে আকাশের মেঘমালা পর্যন্ত নুর আলোকিত হবে এবং দুই জুমার মধ্যবর্তী গুনাহ মাফ হবে। (আত তারগিব ওয়াত তারহিব: ১/২৯৮)

অতএব, জুমার দিন নবীজির সুন্নতের অনুসরণের নিয়তে উল্লেখিত সুরাগুলো নিয়ম করে, বিশেষত এই দিনের যেকোনো সময়ে সুরা কাহাফ পাঠ করা বাঞ্ছনীয়। আল্লাহ তাআলা আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর