নিয়ত রোজা শুদ্ধ হওয়ার শর্ত। আসলে যেকোনো আমলের আগেই নিয়ত ঠিক থাকতে হবে। অন্যথায় সেই আমল আল্লাহ কবুল করবেন না। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক ব্যক্তির আমল নিয়তের ওপর নির্ভরশীল।’ (বুখারি: ১)
কাজা রোজা আদায়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নিয়ত। এক্ষেত্রে আগে নিয়ত করতে হয়। অর্থাৎ সুবহে সাদিক তথা ফজরের ওয়াক্ত হওয়ার আগে কাজা রোজার নিয়ত করা জরুরি। সুবহে সাদিক হয়ে যাওয়ার পর কাজা রোজার নিয়ত করা সহিহ নয়।
বিজ্ঞাপন
কেউ যদি কাজা রোজা রাখার ইচ্ছা করার পর রাতে সুবহে সাদিকের আগে নিয়ত না করে ফজরের পর নিয়ত করে তাহলে তা নফল রোজা হিসেবে গণ্য হবে এবং পরবর্তীতে আবার কাজা রোজা আদায় করতে হবে। (শরহু মুখতাসারিত তাহাবি, জাস্সাস ২/৪০১; মুখতারাতুন নাওয়াজিল: ১/৪৫৪; আযযাখিরাতুল বুরহানিয়া: ৩/৪২; আলবাহরুর রায়েক: ২/২৬২; রদ্দুল মুহতার: ২/৩৮০)
আরও পড়ুন
রমজানের কাজা রোজা কখন রাখা উচিত?
জীবনের সকল কাজা রোজা আদায়ের বিধান কেমন
রমজানের রোজার ক্ষেত্রে নিয়তের মাসয়ালা কিছুটা ভিন্ন। এক্ষেত্রে রাতে সুবহে সাদিকের পূর্বে নিয়ত করতে না পারলে, দিনে সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলার দেড় ঘণ্টা পূর্ব পর্যন্ত নিয়ত করা যাবে। শর্ত হলো, সুবহে সাদিকের পর থেকে নিয়তের পূর্ব পর্যন্ত রোজার পরিপন্থী কোনো কাজ না করতে হবে। (ফতোয়া হিন্দিয়া: ১/১৯৫, রদ্দুল মুখতার: ৩/৩৪১)
কিন্তু কাজা রোজার নিয়ত সকালে করলে ওই কাজা রোজাটি আপনাকে পুনরায় রাখতে হবে।
বিজ্ঞাপন
নিয়ত বলতে মনের সংকল্পকেই বোঝায়। কেউ যদি সূর্যাস্তের পরবর্তী কোনো এক সময়ে মনে মনে এই ইচ্ছা করে যে আমি আগামীকাল রমজানের রোজা রাখব, তাহলে সে রোজা রাখার নিয়ত করল বলে গণ্য হবে। নিয়ত শুদ্ধ হওয়ার জন্য মুখে উচ্চারণ করা আবশ্যক নয়, তবে তা উত্তম। (ফতোয়া আলমগিরি: ১/১৯৫)