অজু পবিত্রতা অর্জনের একটি পন্থা। নামাজের আগে অজু করা বাধ্যতামূলক। পবিত্র কোরআনে আছে, ‘হে মুমিনরা! যখন তোমরা নামাজের জন্য প্রস্তুত হবে তখন তোমাদের মুখ ও হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করবে এবং মাথা মাসেহ করবে আর পা টাখনু (গ্রন্থি) পর্যন্ত ধৌত করবে।’ (সুরা মায়েদা: ৬)
অজু করার সুন্দর ব্যবস্থা না থাকায় অনেকে বেসিনে অজু করেন। পা ধোয়ার জন্য বেসিনে পা তুলে দেন। বিষয়টি নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তোলেন যে, এভাবে অজু করা কি ঠিক? এই ব্যাপারে ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি আসলে কেমন জানতে চান অনেকে।
বিজ্ঞাপন
এর উত্তর হলো- অজুর চার ফরজ মানা হলে অজু শুদ্ধ হয়ে যায়। অজুর ফরজ চারটি। ১. পূর্ণ মুখমণ্ডল একবার ধোয়া, ২, উভয় হাত কনুই পর্যন্ত ধোয়া, ৩. মাথার চার ভাগের একভাগ মাসেহ করা এবং ৪. উভয় পা টাখনুসহ ধোয়া। এর মধ্যে কোনো একটি বাদ পড়ে গেলে অথবা চুল পরিমাণ কোনো স্থান শুষ্ক থাকলে অজু হবে না। (সুরা মায়েদা: ৬; আল কামুসুল ফিকহি: ১/৩৭৩; বুখারি: ১৮০; মুসলিম: ৪১২)
আরও পড়ুন: অজু গোসলের সময় অনিচ্ছাকৃত গলায় পানি গেলে রোজা হবে?
অজু শুদ্ধ হওয়ার জন্য মোটামুটি এগুলো মেনে চললেই হবে। তাই বেসিনে পা তোলাতে কোনো সমস্যা নেই। তবে হ্যাঁ, অজুর সুন্দর ব্যবস্থা থাকলে বেসিনে পা তুলে অজু করা উচিত নয়। কেননা এতে নিচে পানি পড়ে স্যাঁতস্যঁতে হয়ে থাকতে পারে, এছাড়াও ওপরে পা তোলার বিষয়টি দৃষ্টিকটূ আবার এতে সতরও প্রকাশ পেতে পারে। তাই একান্ত বাধ্য না হলে এমনটি না করতে পারলেই ভালো।
মূলত বাথরুম, টয়লেট একসঙ্গে হওয়ার কারণেই অনেককে বাথরুমের বাইরে এসে এই পন্থা অবলম্বন করতে দেখা যায়। কারণ অজুতে দোয়া রয়েছে আর টয়লেট হলো নাপাক জায়গা, কোনো আড়াল ছাড়াই একসঙ্গে বাথরুম। সেই বাথরুমে দোয়া, জিকির আল্লাহর শান ও মর্যাদার পরিপন্থী হবে কি না- সেই আশংকা থেকেই বেসিনে অজু করে থাকেন অনেকে।
বিজ্ঞাপন
আলেমদের মতে, এতে সমস্যা নেই। এতে অজুর কোনো ক্ষতি হবে না। বরং ক্ষেত্রবিশেষে ভালো। তবে খেয়াল রাখা উচিত হবে যেন সতর প্রকাশ না পায় এবং অন্যদের অসুবিধা ও সমস্যার কারণ না হয়।