মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫, ঢাকা

সুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত, উচ্চারণ ও অর্থসহ

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:২৬ পিএম

শেয়ার করুন:

সুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত, উচ্চারণ ও অর্থসহ

জুমার দিন সুরা কাহাফ তেলাওয়াত অনেক ফজিলতপূর্ণ আমল। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে, তার (ঈমানের) নূর এই জুমা হতে আগামি জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। (মেশকাত: ২১৭৫)

সুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থ রাখারও বিশেষ গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। হজরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। (সহিহ মুসলিম: ৮০৯; আবু দাউদ: ৪৩২৩) 


বিজ্ঞাপন


হজরত আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, যেভাবে নাজিল করা হয়েছে, সেভাবে যে ব্যক্তি সুরা কাহাফ পড়বে, তার জন্য সেটা নিজের স্থান থেকে মক্কা পর্যন্ত আলো হবে এবং শেষ ১০ আয়াত পড়লে দাজ্জালের গণ্ডির বাইরে থাকবে আর দাজ্জাল তার ওপর কোনোরূপ প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। (সুনানে নাসায়ি: ১০৭২২)

আরও পড়ুন: সুরা কাহাফের চার ঘটনা ও চারটি মূল্যবান শিক্ষা

এখানে সুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত অর্থ ও উচ্চারণসহ তুলে ধরা হলো।

১. اَلۡحَمۡدُ لِلّٰہِ الَّذِیۡۤ اَنۡزَلَ عَلٰی عَبۡدِہِ الۡکِتٰبَ وَلَمۡ یَجۡعَلۡ لَّہٗ عِوَجًا উচ্চারণ: ‘আলহামদুলিল্লা-হিল্লাজী আনজালা ‘আলা-‘আবদিহিল কিতা-বা ওয়ালাম ইয়াজআল্লাহু ‘ইওয়াজা-।’ অর্থ: ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি নিজ বান্দার প্রতি কিতাব নাজিল করেছেন এবং তাতে কোনো রকমের বক্রতা রাখেননি।’


বিজ্ঞাপন


২. قَیِّمًا لِّیُنۡذِرَ بَاۡسًا شَدِیۡدًا مِّنۡ لَّدُنۡہُ وَیُبَشِّرَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ الَّذِیۡنَ یَعۡمَلُوۡنَ الصّٰلِحٰتِ اَنَّ لَہُمۡ اَجۡرًا حَسَنًا উচ্চারণ; ‘ক্বাইয়িমাল লিইউনজিরা বা’ছান শাদীদাম মিল্লাদুনহু ওয়া ইউবাশশিরাল মু’মিনিনাল্লাজীনা ইয়া‘মালুনাসসা-লিহা-তি আন্না লাহুম আজরান হাছানা-।’ অর্থ: ‘নাজিল করেছেন এক সরল-সঠিক গ্রন্থরূপে, মানুষকে নিজের পক্ষ থেকে এক কঠিন শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করার এবং যেসকল মুমিন সৎকর্ম করে, তাদেরকে এই সুসংবাদ দেওয়ার জন্য যে, তাদের জন্য রয়েছে উৎকৃষ্ট প্রতিদান।’

৩. مَّاکِثِیۡنَ فِیۡہِ اَبَدًا উচ্চারণ: ‘মা-কিসীনা ফীহি আবাদা-।’ অর্থ: ‘যাতে তারা সর্বদা থাকবে।’

৪. وَّیُنۡذِرَ الَّذِیۡنَ قَالُوا اتَّخَذَ اللّٰہُ وَلَدًا উচ্চারণ: ‘ওয়া ইউনজিরাল্লাজীনা ক্বা-লুত্তাখাযাল্লা-হু ওয়ালাদা-।’ অর্থ: ‘এবং সেই সকল লোককে সতর্ক করার জন্য, যারা বলে, আল্লাহ কোনো সন্তান গ্রহণ করেছেন।’

আরও পড়ুন: প্রতিদিন কোরআন তেলাওয়াতের ফজিলত

৫. مَا لَہُمۡ بِہٖ مِنۡ عِلۡمٍ وَّلَا لِاٰبَآئِہِمۡ ؕ کَبُرَتۡ کَلِمَۃً تَخۡرُجُ مِنۡ اَفۡوَاہِہِمۡ ؕ اِنۡ یَّقُوۡلُوۡنَ اِلَّا کَذِبًا উচ্চারন: ‘মা-লাহুম বিহী মিন ‘ইলমিওঁ ওয়ালা- লিআ-বা য়িহিম কাবুরাত কালিমাতান তাখরুজু মিন আফওয়া-হিহিম ইয়ঁইয়াকুলূনা ইল্লা-কাজিবা-।’ অর্থ: ‘এ বিষয়ে কোন জ্ঞানগত প্রমাণ না তাদের নিজেদের কাছে আছে আর না তাদের বাপ-দাদাদের কাছে ছিল। এটা অতি গুরুতর কথা, যা তাদের মুখ থেকে বের হচ্ছে। তারা যা বলছে তা মিথ্যা ছাড়া কিছুই নয়।’

৬. فَلَعَلَّکَ بَاخِعٌ نَّفۡسَکَ عَلٰۤی اٰثَارِہِمۡ اِنۡ لَّمۡ یُؤۡمِنُوۡا بِہٰذَا الۡحَدِیۡثِ اَسَفًا উচ্চারণ: ‘ফালা‘আল্লাকা বা-খি‘উন্নাফছাকা ‘আলা আ-ছা-রিহিম ইল্লাম ইউ’মিনূ বিহা-জাল হাদীছি আছাফা-।’ অর্থ: ‘(হে নবী! অবস্থা দৃষ্টে মনে হয়) তারা (কুরআনের) এ বাণীর প্রতি ঈমান না আনলে যেন তুমি আক্ষেপ করে করে তাদের পেছনে নিজের প্রাণনাশ করে বসবে।’

৭. اِنَّا جَعَلۡنَا مَا عَلَی الۡاَرۡضِ زِیۡنَۃً لَّہَا لِنَبۡلُوَہُمۡ اَیُّہُمۡ اَحۡسَنُ عَمَلًا ‘ইন্না-জা‘আলনা- মা-‘আলাল আরদি ঝীনাতাল্লাহা- লিনাবলুওয়াহুম আইয়ুহুম আহছানু ‘আমালা-।’ অর্থ: ‘নিশ্চিত জেনো, ভূপৃষ্ঠে যা কিছু আছে আমি সেগুলোকে তার জন্য শোভাকর বানিয়েছি, মানুষকে এ বিষয়ে পরীক্ষা করার জন্য যে, কে তাদের মধ্যে বেশি ভালো কাজ করে।’

৮. وَاِنَّا لَجٰعِلُوۡنَ مَا عَلَیۡہَا صَعِیۡدًا جُرُزًا উচ্চারণ: ‘ওয়া ইন্না- লাজা-‘ইলুনা মা-‘আলাইহা-সা‘ঈদান জুরুজা-।’ অর্থ; ‘নিশ্চয়ই আমি ভূপৃষ্ঠে যা কিছু আছে, একদিন তা সমতল প্রান্তরে পরিণত করব।’

৯. اَمۡ حَسِبۡتَ اَنَّ اَصۡحٰبَ الۡکَہۡفِ وَالرَّقِیۡمِ ۙ کَانُوۡا مِنۡ اٰیٰتِنَا عَجَبًا উচ্চারণ: ‘আম হাছিবতা আন্না আসহা-বাল কাহফি ওয়ার রাক্বীমি কা-নূ মিন আ-য়া-তিনা ‘আজাবা-।’ অর্থ: ‘তুমি কি মনে করো গুহা ও রাকিমবাসীরা আমার নিদর্শনাবলীর মধ্যে (বেশি) বিস্ময়কর ছিল?’

১০.  اِذۡ اَوَی الۡفِتۡیَۃُ اِلَی الۡكَهۡفِ فَقَالُوۡا رَبَّنَاۤ اٰتِنَا مِنۡ لَّدُنۡكَ رَحۡمَۃً وَّ هَیِّیٴۡ لَنَا مِنۡ اَمۡرِنَا رَشَدًا ‘ইয আওয়াল ফিতইয়াতু ইলাল কাহফি ফাকা-লূ রব্বানা আ-তিনা- মিল্লাদুনকা রাহমাতাওঁ ওয়া হাইয়ি’ লানা- মিন আমরিনা- রাশাদা-।’ অর্থ: ‘এটা সেই সময়ের কথা, যখন যুবক দলটি গুহায় আশ্রয় নিয়েছিল এবং (আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করে) বলেছিল, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের প্রতি আপনার নিকট থেকে বিশেষ রহমত নাজিল করুন এবং আমাদের এ পরিস্থিতিতে আমাদের জন্য কল্যাণকর পথের ব্যবস্থা করে দিন।’

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর