মহাগ্রন্থ আল কোরআন আল্লাহ তাআলার পবিত্র কালাম। সুপথপ্রাপ্ত হওয়ার জন্য মহান আল্লাহর এই কালামকে আঁকড়ে ধরার বিকল্প নেই। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পবিত্র কোরআনের নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন করা জরুরি। আল্লাহ তাআলা বলেন- وَلَا يُشْرِكُ فِي حُكْمِهِ أَحَدًا ‘তিনি কাউকে নিজ কর্তৃত্বে শরিক করেন না।’ (সুরা কাহাফ: ২৬)
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, إِنِ الْحُكْمُ إِلَّا لِلَّهِ ‘হুকুমের মালিক কেবল আল্লাহ’ (সুরা ইউসুফ: ৬৭) অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, وَمَن لَّمْ يَحْكُم بِمَا أَنزَلَ اللَّهُ فَأُولَـٰئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ ‘যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফায়সালা করে না, তারাই কাফের।’ (সুরা মায়েদা: ৪৪)
বিজ্ঞাপন
পবিত্র কোরআন দুনিয়া-আখেরাত উভয় জগতের সফলতার জন্য একমাত্র গ্রহণযোগ্য গ্রন্থ। যা আল্লাহ তাআলা দয়া করেই মানবজাতীর জন্য নাজিল করেছেন। আল্লাহ তাআলার কাছে কোরআন সুন্নাহ তথা দ্বীন ইসলাম ছাড়া অন্যকিছু গ্রহণযোগ্য নয়। আল্লাহ তাআলার ঘোষণা- ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট ইসলামই হচ্ছে একমাত্র মনোনীত দ্বীন (আনুগত্যের বিধান বা জীবন ব্যবস্থা)। (সুরা আল ইমরান: ১৯)
হাদিসে এসেছে, ‘যারা এই কিতাবের (কোরআনের) অনুসারী হবে, তারা দুনিয়ায় মর্যাদাবান এবং আখেরাতে জান্নাত লাভ করবে। (মুসলিম: ১৭৮২)
আরও পড়ুন: হাদিসে যাদের আল্লাহর পরিজন বলা হয়েছে
আর যারা কোরআন মেনে চলে না বা কোরআনের অবমাননা করে, তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে কঠিন লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি। আল্লাহ তাআলা বলেন- ‘দুর্ভোগ প্রত্যেক ঘোর মিথ্যাবাদী মহাপাপীর, যে আল্লাহর আয়াতের আবৃত্তি শোনে অথচ ঔদ্ধত্যের সঙ্গে (নিজ মতবাদে) অটল থাকে। যেন সে তা শোনেইনি। সুতরাং ওকে মর্মন্তুদ শাস্তির সুসংবাদ দাও।’ (সুরা জাসিয়া: ৭-৮)
বিজ্ঞাপন
নবীজি (স.) বলেছেন, ‘আর যারা কোরআনকে অস্বীকার করবে, তারা দুনিয়ায় লাঞ্ছিত এবং পরকালে জাহান্নামে পতিত হবে।’ (মুসলিম: ১৭৮২)
একবার সাহাবি আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রা.) তাঁর ছাত্রদের বলেন, ‘জেনে রাখো, কোরআন (অনুসারীর পক্ষে ও অবমাননাকারীদের বিপক্ষে) এমন সুপারিশকারী, যার সুপারিশ কবুল করা হবে। অতএব, যে কোরআনের অনুসরণ করবে, সে জান্নাতে যাবে। আর যে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।’ (ফাজায়েলে কোরআন, ইবনে কাসির : ১৫১ )
কোনো মুসলিম কোরআনের বিধানের প্রতি বিদ্বেষ নিয়ে বা অন্যকোনোভাবে একে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করলে সে ইসলামের গণ্ডির বাইরে চলে যাবে এবং তাকে ইসলামি শরিয়তের ভাষায় মুরতাদ বলা হবে। ইসলামি আইন অনুযায়ী তার শাস্তি হলো মৃত্যুদন্ড। তার নেক আমল নষ্ট হয়ে যাবে এবং আল্লাহ তাআলা তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন। তাআলা বলেন, ‘আর তোমাদের মধ্যে কেউ যদি নিজের ধর্ম থেকে ফিরে যায়। আর সে অবিশ্বাসী অবস্থায় মারা যায়, তাহলে দুনিয়া ও আখেরাতে তাদের সকল নেক আমল বরবাদ হয়ে যাবে। এই লোকেরাই হল জাহান্নামের অধিবাসী, তারা চিরকাল সেখানে থাকবে। (সুরা বাকারা: ২১৭)