রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

জান্নাতে উঁকি দিয়ে যা দেখলেন নবীজি

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৩ পিএম

শেয়ার করুন:

জান্নাতে উঁকি দিয়ে যা দেখলেন নবীজি

জান্নাত ও জাহান্নামের প্রতি বিশ্বাস ইসলামি আকিদার অপরিহার্য অংশ। ঈমান ও নেক আমলের পুরস্কারস্বরূপ পরকালে কেউ চিরসুখের চিরস্থায়ী জান্নাত লাভ করবেন, আবার কাউকে শিরক কুফরের কারণে জাহান্নামের কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে।

রাসুলুল্লাহ (স.)-কে মেরাজের রাতে জান্নাত-জাহান্নাম দেখানো হয়েছে। হাদিসের বিভিন্ন বর্ণনায় নবীজির দেখা জান্নাত জাহান্নামের বিস্ময়কর চিত্র উঠে এসেছে। জান্নাতে তিনি যা দেখেছেন, সে বিষয়ে এক হাদিসে হজরত ইবনু আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, আমি জান্নাতের দিকে উঁকি দিলাম, দেখতে পেলাম, তার অধিকাংশই দুঃস্থ গরীব লোক। তারপর আমি জাহান্নামের দিকে উঁকি দিলাম, দেখতে পেলাম অধিকাংশই মহিলা জাতি। (মুসলিম: ২৭৩৭)


বিজ্ঞাপন


অন্য হাদিসে হজরত উসামা ইবনু যায়েদ (রা.) বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, (মেরাজের রাতে) আমি জান্নাতের প্রবেশদ্বারে দাঁড়ালাম। প্রত্যক্ষ করলাম, যারা জান্নাতে প্রবেশ করছে তাদের অধিকাংশই দরিদ্র শ্রেণি, মিসকিন আর ধনীদের দেখলাম বন্দী অবস্থায়। যারা জাহান্নামবাসী হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। তাদের জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার আদেশ করা হয়েছে। আর আমি জাহান্নামের প্রবেশদ্বারে দাঁড়িয়ে দেখলাম যে, যারা জাহান্নামে প্রবেশ করেছে তাদের অধিকাংশই নারী জাতি।’ (মুসলিম: ৬৮৩০)

আরও পড়ুন: ৪ আমলেই নারীর জান্নাত

হজরত আবু তাইয়্যাহ (রহ) বর্ণনা করেন, মুতারিফ ইবনু আবদুল্লাহ (রহ) একবার হজরত ইমরান ইবনু হুসাইন (রা.)-এর কাছ থেকে এসে হাদিস বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, জান্নাতে নারী জাতি সবচেয়ে কম।’ (মুসলিম: ৬৮৩৫)

এ হাদিসগুলো গরিব-দুঃখী মুমিনের জন্য সুসংবাদ হলেও নারীদের জন্য সতর্কবার্তা। নারীরা যেকোনো গুনাহের কাজ থেকে নিজেদের যেমন হেফাজত করবে, তেমনি যাবতীয় ফেতনা থেকে নিজেদের মুক্ত রাখবে। রাসুলুল্লাহ (স.) পুরুষদেরও এ ফেতনা থেকে বেঁচে থাকতে সতর্ক করেছেন এভাবে—‘অবশ্যই দুনিয়াটা চাকচিক্যময় মিষ্টি ফলের মতো আকর্ষণীয়। আল্লাহ তাআলা সেখানে তোমাদের প্রতিনিধি নিযুক্ত করেছেন। তিনি লক্ষ্য করছেন যে, তোমরা কিভাবে কাজ করো। তোমরা দুনিয়া ও নারী জাতি থেকে সতর্ক থেকো। কেননা বনী ইসরাঈলদের মাঝে প্রথম ফেতনা নারীকেন্দ্রিক ছিল।’ (মুসলি : ৬৮৪১)


বিজ্ঞাপন


অন্য হাদিসে হজরত উসামা ইবনু যায়েদ (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘আমি আমার (ইন্তেকালের) পরে পুরুষদের জন্য নারীদের ফেতনার চেয়ে অধিকতর ক্ষতিকর কোনো ফেতনা রেখে যাইনি।’ (মুসলিম: ৬৮৩৮)

আরও পড়ুন: উম্মতের জন্য ভবিষ্যতের ৬ ফেতনা নিয়ে নবীজির দুশ্চিন্তা

নারী চাইলে সহজেই জান্নাত লাভে ধন্য হতে পারে—এমন আমলও জানিয়ে দিয়েছেন প্রিয়নবী (স.)। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে নারী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, রমজান মাসের রোজা রাখে, নিজের লজ্জাস্থান হেফাজত করে এবং স্বীয় স্বামীর আনুগত্য করে, সে নিজের ইচ্ছানুযায়ী জান্নাতের যে কোনো দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করবে।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান: ৪১৬৩; মুসনাদে আহমদ: ১৫৭৩)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে হেফাজত করুন। জান্নাতের নেয়ামত দান করুন। নারীদের ফেতনা থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন। নারীদেরও যাবতীয় গুনাহ থেকে হেফাজত করুন। জান্নাতে প্রবেশের সহজ চার আমল যথাযথ পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর